মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

টঙ্ক আন্দোলনের সৈনিক কুমুদিনী হাজংয়ের পাশে ইউএনও রাজীব -উল-আহসান

যা যা মিস করেছেন

  1. ব্রিটিশ শাসনামলে ঐতিহাসিক টঙ্ক আন্দোলন ও হাজং বিদ্রোহের অকুতোভয় সৈনিক কুমুদিনী হাজং। এক সময় জমিদারদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এই নেত্রীর এখন হাঁটাচলা করতেও কষ্ট হয়। এখন চোখে কম দেখেন এবং কানেও কম শোনেন সেইসাথে শ্বাস ফেলতেও ভীষণ কষ্ট হয়। গত কয়েকদিনের ঠান্ডায় শ্বাসকস্ট সহ নানা অসুখে ভোগছেন তিনি। এতে আরও বেশি দুর্বল হয় পড়েছেন তিনি। উন্নত চিকিৎসাসেবা পেলে খানিকটা ভালো থাকতে পারবেন বলে মনে করছেন স্বজনরা।
    কুমুদিনী হাজং অসুস্থ্য এমন খবরে গতকাল দুপুরে দুগার্পুরের মানবিক ইউএনও নামে খ্যাত রাজীব-উল-আহসান, উপজেলা আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার তানজিরুল ইসলাম, প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকতার্ মো. সাইফুল ইসলাম, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ শুকনো খাবার, চাল-ডাল ও স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয় ঔষধ-পথ্য নিয়ে ছুটে যান কুমুদিনী হাজং বাড়ীতে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওনার হাতে তুলে দেন সংসারের অন্যান্য কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-রাজীব-উল-আহসান বলেন, টঙ্ক আন্দোলনের কালের স্বাক্ষি কুমুদিনী হাজংকে ইতোমধ্যে সরকারি ভাবে ঘর করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রকার ভাতা পান তিনি। ওনার অ-সুস্থতার কথা শুনে আমি সরাসরি দেখতে গিয়েছি। চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছি প্রতিনিয়ত। এই নেত্রীর সুস্থ্যতার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল সহায়তা করে যাবো।
    কুমুদিনী হাজং নেত্রকোণার দুর্গাপুর সীমান্তে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। বহেরাতলী গ্রামের একটি পাহাড়ি টিলায় থাকেন তিনি। সঙ্গে থাকেন মেজো ছেলে অর্জুন হাজং ও তার পরিবার।
    তৎকলীন ময়মনসিংহের সুসং জমিদারের খাজনা টঙ্ক আদায়ের প্রথা চালু ছিল। জমিতে ফসল হোক আর নাই হোক, পাওনা খাজনা জমিদারকে দিতেই হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হতো না তখন। খাজনা না দিলে চরম শাস্তি দেওয়া হতো। ১৯৩৭ সালে শোষিত কৃষকেরা এ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন, যা টঙ্ক আন্দোলন নামে পরিচিত। ২০০০ সালে কুমুদিনীর স্বামী লংকেশ্বরের মৃত্যু হয়। তাদের তিন ছেলে, দুই মেয়ে যে যার মতো অন্যত্র বসবাস করেন। সরকারিভাবে থাকার জন্য কুমুদিনী হাজংকে ঘর করে দেওয়া হয়েছে।
    সমাজসেবায় অবদানের জন্য ২০১৯ সালে কুমুদিনী হাজংকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি। এ ছাড়া তিনি অনন্যা শীর্ষ দশ (২০০৩), ড. আহমদ শরীফ স্মারক (২০০৫), কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি পদক (২০০৭), সিধু-কানু-ফুলমণি পদক (২০১০), জলসিঁড়ি (২০১৪) ও হাজং জাতীয় পুরস্কার (২০১৮) পেয়েছেন।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security