শনিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৪

আস্থার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে র‍্যাব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যা যা মিস করেছেন

জননিরাপত্তা রক্ষায় এলিট ফোর্স র‍্যাব গণমানুষের আস্থার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, ‘র‍্যাব চরমপন্থিদের আগ্রাসন থেকে দেশকে মুক্ত করেছে। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের রক্তাক্ত জনপদের মানুষ পেয়েছে নিরাপদ জীবন। র‌্যাবের কারণে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। জঙ্গি দমনের মাধ্যমে দেশের আপামর জনগণের নিরাপত্তা সমুন্নত হয়েছে। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, জলদস্যুতা দমনের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিরাজমান। বিভিন্ন হত্যা, খুন, অপহরণ, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের মাধ্যমে ভিকটিম পরিবারের বিচার পাওয়ার পথ সুগম করেছে। মানবিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়িয়েছে র‌্যাব।

সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে র‍্যাবের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। কুর্মিটোলা র‍্যাব সদর দপ্তরের শহীদ লে. কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

জঙ্গি দমনে র‌্যাবের ভূমিকার প্রশংসা করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিগত ও বর্তমান সময়ে শীর্ষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনে র‌্যাব। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি দমনে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি ও কৌশলের আলোকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি দমনে যে সফল তৎপরতা চালিয়েছে তাতে র‌্যাবের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, চরমপন্থি, জলদস্যু দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সর্বশেষ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে মাদকবিরোধী অভিযানে র‌্যাবের রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। র‍্যাবের বিশেষ উদ্যোগে র‍্যাব ডি-র‍্যাডিকালাইজেশন ও রি-হ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রাম “নবদিগন্তের পথে” অত্যন্ত অভিনব ও যুগান্তকারী এই উদ্যোগ। অপরাধীর মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজের মূলধারায় আবার তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। আত্মসমর্পণকৃত ৪২১ জন সন্ত্রাসীদের (জলদস্যু ও জঙ্গি) পুনর্বাসন প্রক্রিয়া যুক্ত রয়েছে।

মানবিকতা দিয়ে অপরাধ দমনের এমন সাফল্য বিশ্বের বুকে নজিরবিহীন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সুন্দরবন এলাকায় দস্যুবাহিনীর তৎপরতা কাহিনি এবং তাদের আলোর গতি ফিরিয়ে আনার জন্য র‌্যাবের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, জলসদ্যুদের আত্মসমর্পণ করানোর মধ্যেই র‍্যাব ক্ষ্যান্ত যায়নি। বরং তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করেছে। সুন্দরবনে আজ শান্তির সুবাতাস বইছে। এছাড়াও র‌্যাবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কক্সবাজার ও মহেশখালী উপকূলীয় অঞ্চলের ১৮টি বাহিনীর ৭৭ জন সদস্য, ১৮৮টি অস্ত্র ও ৯ হাজার ৭০৩ রাউন্ড গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security