দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা এএইচএম ফুয়াদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার সকালে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো.আলিমুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে ফুয়াদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। এর আগে তাকে গ্রেপ্তার করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ ও তদন্ত জামাল পাশা আজ বুধবার দুপুরে ফুয়াদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
খন্দকার মোশাররফের এপিএস ফুয়াদের বিরুদ্ধে ২০০০ কোটি টাকার অর্থ পাচার মামলা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি মামলা আছে। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়ি ভাঙচুরের মামলারও আসামি তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন এইচএম ফুয়াদ দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর যাবৎ হাতুড়ি বাহিনী, হেলমেট বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি, পাসপোর্ট অফিস, বিভিন্ন হাট-বাজার ইজারা নিয়ন্ত্রণ ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ২০১৫ সালের ১৫ ই জুন বাসস্ট্যান্ডে ছোটন হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং আজকে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রসঙ্গত এএইচএম ফুয়াদ জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ২০২০ সালের ৭ জুন ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হলে তিনি আত্মগোপন করেন । দীর্ঘদিন ধরে তিনি আত্মগোপন করেছিলেন তাকে ধরার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বারবার পুলিশ অভিযান গ্রেপ্তার করতে পারেনি ।