কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনা জেলার চার উপজেলায় মঙ্গলবার পৃথক পৃথক বজ্রপাতে নতুন করে আট জনের মৃুত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে খালিয়াজুরীতে ৩, কেন্দুয়া ২, মদনে ২ ও পূর্বধলায় ১ জন মারা যায়। এছাড়াও বজ্রপাতে খালিয়াজুরীতে ৫জন ও মদন উপজেলায় ৪ জন আহত হয়েছেন।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম জানান, উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের খেলু ফকিরের ছেলে কৃষক ওয়াসেক মিয়া (৩২) একই গ্রামের আমির মিয়ার ছেলে কৃষক বিপুল মিয়া (২৮) ও বাতুয়াইল গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মনিরুল হক (২৮) বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। তারা সকলেই বরবরিয়া হাওরে ধার কাটার কাজ করছিলেন। এ সময় ৫ জন আহত হয়। আহতদের খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ্ নেওয়াজ জানান, কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বৈরাটী গ্রামের মো. বায়েজিদ মিয়া (৪২) ও কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুন্ডলী গ্রামের মো. ফজলুর রহমান (৫৫) মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে বৃষ্টিপাত চলাকালে ধান ক্ষেতে কাজ করার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে মারা যায়।
মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের পিছনে পতিত জমিতে কিশোররা ফুটবল খেলতে যায়। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ফতেপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ শরীফ (১৮) ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে মাওলানা আতাবুর রহমান (২১) নামের দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় বজ্রপাতে পশ্চিম ফতেপুর গ্রামের রবিন (১৫) ও রুমান (১৮) এবং তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামের ভিক্ষু মিয়ার স্ত্রী কণা (৪৫) ও চন্দন মিয়ার স্ত্রী সুরমা আক্তার আহত হয়। আহতদেরকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পূর্বধলা থানার ওসি মো. শিবিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকালে বৃষ্টিপাত চলাকালে পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের পালগী গ্রামে হঠাৎ বজ্রপাতে ইছাক ফকিরের পুত্র স্কুল ছাত্র জুনায়েদ (১১) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, বজ্রপাতে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে নগদ ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও আহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ৩ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।