অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও করোনা রোগীদের জন্য সুবিধাদি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে হাসপাতালের এক ইঞ্চি জায়গা খালি থাকলেও কোন রোগীকে সেবা বঞ্চিত করা হবে না বলে জানিয়েছেন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার সকালে বারিধারার নিজ বাসভবন থেকে অনলাইন জুম অ্যাপের মাধ্যমে অংশ নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের নতুন ১০টি আইসিইউ বেড উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, করোনার প্রকোপ দিন দিন যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে হাসপাতাল বেড দ্রুত বৃদ্ধি করার বিকল্প নেই। এ কারণে সরকার কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল সংখ্যা বৃদ্ধি করাসহ সকল হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশনের একটি মার্কেটকে পুরোপুরি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হয়েছে। এই হাসপাতালে মোট সাড়ে বারো’শ করোনা ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। এখানে ৫০টি আইসিইউ বেড ও ২০০টি এসডিও বেড রয়েছে। এর পাশাপাশি ১০০০টি আইসোলেশন বেড রয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাইরে অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের প্রতিটিতেই কোভিড শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮০০টির মতো করোনা ডেডিকেটেড শয্যা রয়েছে। এখানে প্রতিটি বেডেই হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলা সুবিধা রয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে আগের আইসিইউ, এসডিও এর সাথে আজ আরো ১০টি নতুন আইসিইউ বেড সংযুক্ত হলো। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও করোনা রোগীদের জন্য সুবিধাদি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে হাসপাতালের এক ইঞ্চি জায়গা খালি থাকলেও কোন রোগীকে সেবা বঞ্চিত করা হবে না। কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়।
‘যেভাবে প্রতিদিন করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে দেশে কোন হাসপাতালেই রোগী রাখার জায়গা থাকবে না। এজন্য করোনা বৃদ্ধি ঠেকাতে দলমত নির্বিশেষে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে এখনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১৮টি নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়নসহ সকল স্থানে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে না পারলে আগামীতে এই প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. নাজমুল হোসেনসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের অন্যান্য চিকিৎসক, কর্মকর্তারা এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভার শেষ পর্যায়ে অনলাইন ভিডিও এর মাধ্যমে নতুন স্থাপিত ১০টি আইসিইউ বেডের ভিডিও চিত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেখান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।