তাসলিমুল হাসান সিয়াম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি : জমি সংক্রান্ত দ্বন্দে মৃত ব্যক্তির নামেও আদালতে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী! সেই মামলায় দশ জন আসামী থাকলেও মৃত ব্যক্তিই রয়েছে দুইজন। এদের মধ্য রাশেদা বেগম মারা গেছে প্রায় ২৫ বছর আগে এবং শিরিন আক্তার মারা গেছে প্রায় ৯ মাস পুর্বে। মামলার পর গত ৮ জুন পুলিশ নোটিশ জারি করলে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে। শুরু হয় বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমলোচনা। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের নুনিয়াগাড়ী এলাকায়। আদালত সুত্র জানায়, পলাশবাড়ী পৌর শহরের নুনিয়াগাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল করিম মিয়ার ছেলে পলাশবাড়ী আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউনুছ আলী বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ শ্যামলী বেগম সহ দশজনের নামে মামলা করেন। গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৬ জুন ১৪৪/১৪৫ ধারায় এই পিটিশন মামলাটি দায়ের করেন তিনি। মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রতিপক্ষরা গভর্নিং বডির সভাপতি ইউনুছ আলীকে জমি সংক্রান্ত বিরোধে নানা ধরনের ভয়-ভীতিসহ লাশ গুম করারও হুমকি দেয়। আদালত সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। পুলিশ গত ৮ জুন উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নোটিশ জারি করে। তখন স্থানীয়রা থানা পুলিশের কাছে দুই মৃত ব্যক্তির নামে মামলা দায়েরের বিষয়টি তুলে ধরে। পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশে উভয় পক্ষকে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে নোটিশ জারি করেছি। মামলায় মৃত ব্যক্তির নাম আছে তা নোটিশ জারি করতে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে পুলিশ জানতে পারে। এখানে তাদের কিছুই করার নাই। জানতে চাইলে কলেজটির সভাপতি ও মামলার বাদি ইউনুছ আলী দাবি করেন, মৃত দুই ব্যক্তিকে মামলায় আসামী করা আমার ভুল হয়েছে। এজন্য আমি আদালতে ক্ষমা চাইবো।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment