বছর ঘুরে আবারও আকাশে উঁকি দিয়েছে রমজানের চাঁদ। প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র রমজানকে ঘিরে মুসলিমদের ঘরে আয়োজনের যেন কমতি নেই। আবার গত দুই বছরের মতো নেই বিধিনিষেধও। ফলে এবার অনেকটা স্বাভাবিক চিত্রেই ফিরেছে রমজান। একই সঙ্গে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে রমজানের কেনাকাটার তোড়জোড়।
শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট ছাড়াও বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে স্বাভাবিকের চাইতে লোক সমাগম অনেক বেশি। পাইকারি ও খুচরা বাজারেও ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে অনেক গুণ।
বিক্রেতাদের ভাষ্য, গত এক সপ্তাহ ধরেই বাজারে ক্রেতা সমাগম বেশি।
এদিকে, ক্রেতারা বলছেন- রমজানের মাসের বাজার একত্রে করে ফেলতে চান তারা। তাই রোজা শুরুর আগেই রমজানের নিত্যপণ্য ঘরে তুলছেন।
ক্রেতাদের এমন উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে রাজধানীর কারওয়ান বাজারেও। তারা বলছেন, বাজারে পণ্যের দাম বেশি। তবুও রমজানের পণ্যে একত্রে কিনে নিতে চান তারা। বাড়তি ভোগান্তি চান না।
রমজানের বাজার করতে আসা আরিফ উদ্দিন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘রোজা রেখে বাজারে আসা যাবে না। আর রোজার দিনে অন্য কাজ থাকে। তাই বাজারের বিষয়টা আগেই সমাধান করতে চাই। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি।’
একই অভিযোগ অন্যান্য ক্রেতাদেরও। তবে দামের বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার ‘সময় নেই’ বিক্রেতাদের। তারা ক্রেতা সামাল দিতে যেমন হিমশিম খাচ্ছেন, সেই সঙ্গে পণ্যের দামও হাঁকছেন আকাশছোঁয়া।
শনিবার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি লম্বা ও গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। যা গতকালও ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকার ঘরে। আর মুদি বাজারে চাহিদা বেশি রয়েছে পেঁয়াজ, ডাল, ছোলা, মুড়ি ও তেলের। এর মধ্যে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। এছাড়া মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। সেই সঙ্গে ছোলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেসন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের পরেও কমেনি সয়াবিন তেলের দাম। কথা ছিল, খোলা সয়াবিন তেল ১৪৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩৬ টাকা লিটার দরে বিক্রি হবে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হওয়ার কথা ১৬০ টাকায়। তবে বাজারে এর প্রতিপালন নেই।
রাজধানীর বাজারগুলোতে কোম্পানি ভেদে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। পাশাপাশি পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৭০ থেকে ৭৮০ টাকায়। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা লিটার দরে ও পামওয়েল ১৫৬ থেকে ১৫৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, ধরণ ভেদে খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে তিন হাজার টাকা কেজি দরে।