তাসলিমুল হাসান সিয়াম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: শস্য-শ্যামল গ্রামবাংলার মাঠজুড়ে এখন সবুজের সমাহার। বিস্তৃর্ণ সবুজের ফাঁকে হলুদ রঙে সাজিয়ে উঠেছে কৃষকের মাঠ। বসন্তের সুর্যের ঝলকানিতে ঝলমল হাসিতে রাঙিয়েছে সুর্যমূখীর ক্ষেত।
সরেজমিনে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এমনই এক চিত্র দেখা যায়, গাইবান্ধার বনগ্রাম এলাকায়। এলাকার ঘাঘট নদের তীরের পূর্ব শালাইপুরের টুনিরচরে সুর্যের মুখ করে হাসছে সুর্যমুখী। কৃষকের এই শস্য ক্ষেতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ফুলপ্রেমিরা করছে ছুটাছুটি।
জানা যায়, শালাইপুর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম। তিনি বানিজ্যিকভাবে আবাদ করেছেন সুর্যমুখীর। এ ফসলের দানা থেকে উৎপাদন হয় ভোজ্যতেল। এটির চাহিদা থাকায় দুই বিঘা জমিতে সুর্যমুখীর আবাদ করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুত্রে জানা যায়, সুর্যমুখী সারা বছরে চাষ করা যায়। তবে রবি মৌসুমে ভালো হয়। সুর্যমুখী সাধারনত সব মাটিতে আবাদ করা যায়। এর বীজ সারিতে বুনতে হয়। হেক্টরপ্রতি ৮-১০ কেজি বীজ লাগে। বীজ বোনা থেকে প্রায় ১০০ দিনের মধ্যে এ ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। এতে প্রায় ২ টন দানা সংগ্রহ করা যেতে পারে। এ ফসল থেকে তেল উৎপাদন ছাড়াও গরু-মহিষের খাবার হিসেবে খৈল তৈরী হয়ে থাকে। গাছ ও পুষ্পস্তবক জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, লাভজনক ফসল হিসেবে প্রতিবছরেই সুর্যমূখীর আবাদ করেন তিনি। এ বছরেও চলতি রবি মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে এটি চাষ করছেন। বীজ-সার- শ্রমিকসহ অন্যান্য ব্যয় হবে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ফলন ও বাজার দাম ভালো থাকলে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা লাভ থাকবে তার।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন জানান, সুর্যমুখী চাষ অত্যান্ত লাভজনক। কৃষকদের আরও লাভবান করতে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।