জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন মেয়েদের কমন রুমের সামনের প্রাচীর সীমানার উপরের গ্রীল চুরি হয়েছে। এর আগেও দুইবার একই জায়গার গ্রিল চুরি হয়েছে। এবার চোরকে একদিন পর ধরতে পারলেও চোর মাদকাসক্ত হওয়াতে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে চুরিকৃত গ্রীলের অর্ধেক অংশকে উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জানা যায় একই একই জায়গার গ্রিল ছয় মাস আগেও একবার চুরি হয়েছিলো।
সরেজমিনে দেখা যায়,দ্বিতীয় গেটের শুরু থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তন পর্যন্ত প্রায় ৯০ ফুট প্রাচীর গ্রীলের অর্ধেকাংশই নেই। বাকি যেটুকুতে গ্রিল আছে তাও জীর্নশীর্ণ। সীমানা প্রাচীরের বেশ কিছু অংশতেও ধরেছে ফাটল। অব্যবস্থার ফলে দেওয়াল জুড়ে চলে বহিরাগতদের মূত্র নিঃসরণ। প্রাচীরের গায়ে, “এখানে প্রসাব করলে ২০০ টাকা জরিমানা” এমন নির্দেশনা থাকলেও মানছেন না জন সাধারণ। স্থানীয় দোকানিরা বলছেন,পাশেই বাহদুরশাহ পরিবহনের বাস স্টপেজ হওয়াতে বাসে উঠতে নামতে যাত্রীরা এখানে প্রসাব করে তাছাড়া পথচারীরা তো আছেই। আমরা নিষেধ করলেও মানে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে এটা সমাধান হবে না।
একই ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা ভাবকে দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা। ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা বলেন ,আমাদের দ্বিতীয় গেটের পরিবেশ অবস্থা খুবই নাজুক। মেয়েদের কমনরুম ওই দিকে হওয়াতে আমরা এই সমস্যাটা বেশি উপলব্ধি করি। সীমানা প্রাচীরটা পর্যাপ্ত উচু নয় বলে মনে করি আমি বাইরে থেকে উকি দিলে দেখা এদিকটা দেখা যায়। এদিকে সীমানা প্রাচীরের গ্রিল কিছু অংশ আছে কিছু অংশ নেই।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আমাদের দাবি দ্বিতীয় গেটের সীমানা প্রাচীর ও গ্রিল দ্রুত সংস্কার করা হোক। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাম্পাসের এই অংশটি যবথুবো ভাবে পড়ে আছে। আমরা একবার নিজ উদ্যোগে এই জায়গাটি পরিষ্কার করে রঙ করে একটা পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছিলাম।দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারণে আবার আগের মতো হয়ে গেছে এখন। এমতোঅবস্থায় প্রশাসন থেকে জোরালো উদ্যোগ নিয়ে এই জায়গাটুকু সংস্কার করে পরিবেশ ফিরিয়ে আনা জরুরী। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিবেশ মানা যায় না।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো.হেলাল উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, চুরিকৃত গ্রীলটির একটি অংশ আমরা উদ্ধার করেছি এবং সংস্কারের জন্য প্রশাসনকে জানিয়েছি। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট একটা ফাইল জমা দিয়েছি প্রাচীর সংস্কার ও গ্রীল সংস্করের বিয়য়ে।
বারবার একই জায়গা থেকে চুরির নেপথ্যের কারনে তিনি বলেন,প্রাচীরটা অনেক পুরানো হয়ে গেছে। প্রাচীরে ধারণ শক্তি নেই বললেই চলে।গ্রীলটা যে শক্তভাবে আটকে থাকবে এই শক্তি নাই দেওয়ালে ফলে চোরে গ্রীল ধরে ঝাকুনি দিলেই গ্রীলটা খুলে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা খুব দ্রুতই দ্বিতীয় গেটে একটা বেরিকেড দিয়ে নির্দিষ্ট অংশের বাইরে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বেরিকেড দিবো এমন প্রস্তাবনা দিবো যেনো পরবর্তীতে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা না ঘটে। প্রশাসনের থেকে নির্দেশনা আসা মাত্রই আমরা ব্যবস্থা নিবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনাটি আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। পরবর্তীতে যেনো এমন ঘটনা না ঘটে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই।