বগুড়া প্রতিনিধিঃ
ছুটিতে বাড়ি এসে বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের এক নারী কনস্টেবল বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। তার নাম মোছা. রহিমা খাতুন (২০)। সে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের চন্ডেশ্বর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। কক্সবাজার জেলার উখিয়া ক্যাম্পে কর্মরত ছিল এই নারী পুলিশ কনস্টেবল। সেখানে কর্মরত একই ব্যাটালিয়নের পুলিশ কনস্টেবল হৃদয় হাসানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার। কিন্তু বিয়েতে অসম্মতি জানানোর কারণেই ক্ষোভ ও অভিমান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই নারী কনস্টেবল।
নিহতের চাচা রুবেল আহমেদ জানান, বিগত চার-পাঁচদিন আগে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসে রহিমা খাতুন। এরইমধ্যে মুঠোফোনে প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দেয় সে। কিন্তু বিয়েতে রাজি ছিল না প্রেমিক হৃদয় হাসান। এনিয়ে তাদের মধ্যে মুঠোফোনে ঝগড়া হয়। ঘটনাটি পরিবারের সবাইকে জানায়। এরপর তার বাবা-মা অন্য জায়গায় তাকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এতে অভিমান করে গতকাল ১০টার দিকে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। একপর্যায়ে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হাতিগাড়া এলাকাস্থ স্যাটকম এগ্রো পার্কে (সাবেক সাউদিয়া পার্ক) গিয়ে বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে পার্কের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে বেড়াতে যাওয়া লোকজন উদ্ধার করে তাকে শেরপুর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক বগুড়ায় স্থানান্তর করা হয়। আর সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমা খাতুন মারা যায়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, নিহত ওই নারী পুলিশ কনস্টেবলের লাশ বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে কী-কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা তদন্তের পরই কেবল বলা সম্ভব হবে। এছাড়া উক্ত ঘটনায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment