মোঃ রোমান বেপারী, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজয়ী প্রার্থীর লোকজনেরা পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রায় ১০ সমর্থকের বসতবাড়িতে দফায়-দফায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এনিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানাগেছে, দ্বিতীয় ধাপের সদ্য অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষিপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হকের স্ত্রী মৌসুমি সুলতানা ও নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী। এ নির্বাচনে বিজয়ী হন মোঃ ফজলুল হকের স্ত্রী মৌসুমী সুলতানা। এর জের ধরে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মৌসুমি সুলতানার লোকজন দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরাজিত প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীর সমর্থক খোকন মেম্বার, সাজাহান মেম্বার ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের মাস্টারের বাড়িরসহ ১০টি বাড়িতে ভাংচুর চালায়। এসময় তাদের বাধা দিলে প্রায়৭-৮জন আহত হন। আহতদেরকে শরীয়াতপুর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে খাসেরহাট তদন্ত্র কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী বলেন, মৌসুমি সুলতানার স্বামী ফজলুল বেপারীর নির্দেশে রাতের আধারে আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ঘরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়েছে। ফজলুর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারনে দেশে থাকতে পারতেছিনা।
বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মৌসুমি সুলতানার স্বামী ফজলুল হক বলেন, এ মারামারি নির্বাচন নিয়ে হয়নি। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে হয়েছে।
এব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।