মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মনু নদের তীর রক্ষা,বেরী বাধ সংস্কার, চরকাটিংসহ বিভিন্ন প্রকল্প দিয়ে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সাজিয়েছিল বিগত সরকার। ওয়ার্ক অর্ডার দেয়ার পর কয়েক ধাপে ৫ বছর থেকে এসব প্রকল্প বাস্থবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু কাজ চলমান থাকাকালীন সময়ে আকস্মিক ধ্বসে পড়েছে নদের তীরের বাঁধ। উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের গণেশপুর এলাকায় এ ভাঙন দেখা দেয়। এতে হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের সফলতা নিয়ে শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা তুজ জোহরা,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালিদ বিন ওয়ালিদ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানা যায়, মৌলভীবাজারে মনু নদের তীর রক্ষা, বেরী বাঁধ সংস্কার, চরকাটিংসহ বিভিন্ন প্রকল্প দিয়ে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাস করেছিল বিগত সরকার। ২০২১ সালে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়ার পর শুরুহয় কাজ। বিগত ৫ বছর থেকে ওই প্রকল্পগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।
৫৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে ওই প্রকল্প এলাকায় বুধবার (২২শে অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে টেংরা ইউনয়িনের গণেশপুর এলাকায় বিকট আওয়াজ পেয়ে এলাকাবাসী ঘর থেকে বের হন। তারা নদের কাছে গিয়ে দেখেন বাঁধের কিছু অংশ ধসে পড়েছে। আকস্মিক ধ্বসে পড়ায় মানুষজনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন অধিক পরিমাণে এই নদ থেকে বালু উত্তোলনের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের তাজুদ মিয়া বলেন, আমরা এই নদের পাড়ে বসবাস করি।
আমার একটি বাড়ি এই নদ নিয়ে গেছে, এখন আরেকটি বাড়ি বিলীন হওয়ার পথে। বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। অপর বাসিন্দা রুহেল মিয়া বলেন, বাঁধে ভাঙন বৃদ্ধির শঙ্কায় আমি রাত থেকে আতঙ্কে আছি। যে কোন সময় এই ভাঙন বাড়তে পারে। পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: খালিদ বিন ওয়ালিদ বলেন, আমি ভাঙন এলাকা দেখেছি। ভাঙনের অপরদিকে চর দিয়েছে। এতে নিচের মাটি সরে যাওয়ায় এখানে দেবে গেছে।
তিনি আরো বলেন, মনু নদের হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ৫৯% শেষ হয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে। বালু আরো নিচের দিকে তুলা হচ্ছে। এতে এখানে প্রভাব পড়ছে না। নদের স্রোতের চাপ এদিকে থানায় নিচে গর্ত হয়ে গিয়েছে। এটা ভরে দিয়ে কাজ করতে হবে। এই ভাঙন রোধে ব্লক বা জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামতের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঠিকাদার কাজ করে দেবে বলে আশ্বস্ত করেন।
