নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় দুই বছর আগে আলোচিত নেত্রকোনা বারহাট্টা উপজেলায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় হত্যা করা হয় স্কুলছাত্রী মুক্তি রাণী বর্মনকে। ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক মো. কাওছার মিয়াকে (১৮) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। তিনি তাঁর রায়ে উল্লেখ করেন, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে কাওছারের ফাঁসি কার্যকর করার কথা রায়ে লিখেন।
রায় ঘোষণার পর আসামিকে সাজা পরোয়ানার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আসামি চাইলে সাত দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন বলে জানা গেছে।
এ দিকে মুক্তি রাণী বর্মনের পরিবার আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে এবং ন্যায়বিচার পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি রাণী বর্মনকে (১৬) দীর্ঘদিন ধরে কাওছার মিয়ার প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসতেছিল। প্রতিবারই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মুক্তি রানী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২৩ সালের ২ মে বিদ্যালয় ছুটির পর কংস নদীর পাড়ে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা কাওছার ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় মুক্তিকে।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মুক্তিকে প্রথমে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অবস্থার অবনতি হলে পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে নেওয়া হলে মুক্তি রানী বর্মনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনায় মুক্তি রানীর বাবা নিখিল চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।