মোঃনাজমুল হাসান (অপু) তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার জেলার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নে সরকারি খাল থেকে কৃষক খেতে সেচের পানি জন্য টাকা দিতে হয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বিএনপি’র এক কর্মীকে। সরেজমিনে জানা যায়, তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নে ছোট আমিখোলা, বড় আমখোলা ও কবিরাজ পাড়া মিষ্টি পানির জন্য একটি খাল আমখোলা। এই খালে পানি উঠানামার জন্য একটি স্লুইসগেট রয়েছে। ওইখালে ৩/৪ মাস লবণ পানি উঠা-নামা করে। স্লুইসগেট বন্ধের ঝাপ নেই।
কৃষকেরা মিলে মিষ্টি পানি রাখার জন্য কাঠ কিনে ঝাঁপ তৈরি করে স্লুইসগেট বন্ধ রাখে ও পাশের একটি খালের সাথে সংযোগ করে দেন । এদিকে আওয়ামী লীগ ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি মজিবুর রহমান ও বিএনপি’র কর্মী কবির ঘরামী তিনটি গ্রামের সকল কৃষকদের ৫০০ লোকের তালিকা করেন।
যারা তরমুজ চাষ করে তাদের কানি প্রতি ৪০০০ হাজার এবং ধান চাষিদের কানি প্রতি ১৫০০ টাকা করে ধার্য করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা এই বিষয়ে এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে জয়নাল সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
স্থানীয় কৃষক ফারুক হোসেন বলেন আমি খাল থেকে মটার দিয়ে পানি উঠাইতে গেছিলাম তারপর কবির ঘরামী আর মজিবুর রহমান এসে আমার মটার নিয়ে যায়। আমাকে পানি নিতে দেয়নি। স্থানীয় কৃষক মহারাজ বলেন, আমার কাছ থেকে তারা ১৫০০ টাকা নিয়েছে। টাকা না দিলে তারা পানি দেয়না। আওয়ামী লীগ ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন,উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিননিয়েই টাকা আদায় করছি। আমরা নিজস্ব টাকা দিয়ে খাল কেটেছি।
কবির ঘরামী বলেন, আমাদের ওই খালে ৭০-৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তাই আমরা কৃষকদের থেকে টাকা তুলতেছি। ৭ নং সোনাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস ফরাজী বলেন,আমি বলেছি তোমরা একটা কমিটি গঠন করে ওখানে মিষ্টি পানি আটকানোর জন্য যে কয় টাকা খরচ হয় সবাই মিলে দিবে। সেখানে যে অতিরিক্ত টাকা তুলতেছে আমি এ বিষয়ে জানিনা। তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, আমি টাকা উত্তোলনের বিষয়টি গতরাতে শুনেছি আমি এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।