নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) এর ১৭ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) রাতে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম সিহাব উদ্দিন। সে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফারাংপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ডাচ-বাংলার মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেট এর ডিস্ট্রিবিউটর ও পৌর শহরের কথা টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. মোক্তার হোসেন শামীম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিহাব ওই প্রতিষ্ঠানের একজন বিশ্বস্ত কর্মচারী হওয়ায় রকেট ব্যবসার সকল দিক পরিচালনা করতেন তিনি। ব্যবসার মূল সিমকার্ডে দুই ধাপে দেয়া মোট ১৭ লক্ষ টাকা লোডসহ মোবাইল সেট তার কাছেই ছিল। এ অবস্থায় গত ৩ মার্চ দুপুরে ব্যবসার মূল সিমকার্ড সহ মোবাইল সেট নিয়ে ঝানজাইল বাজারে যাওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যান শিহাব উদ্দিন।
একই দিন সন্ধ্যায় শিহাবের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করলে, সে পূর্বধলা এলাকায় মার্কেটিং এর কাজে আছেন এবং কিছুক্ষন পরেই দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন বলে জানায়। পরবর্তীতে তারাবি নামাজ শেষে রাতে শিহাব উদ্দিনের চাচা আজগর আলী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারীকে মুঠোফোনে জানায়, শিহাব উদ্দিন এখনো বাড়ী ফিরেনি। সাথে সাথে ডিস্ট্রিবিউশন হাউজ থেকে শিহাব উদ্দিনের ব্যক্তিগত নাম্বারসহ কোম্পানীর মাদার সিমকার্ডে ফোন দিলে সকল ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে খোঁজ নিলেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. মোক্তার হোসেন শামীম জানান, সিহাবের কাছে থাকা সকল ফোন নাম্বার বন্ধ পেয়ে রকেট অফিসের হটলাইন (১৬২১৬) নম্বরে যোগাযোগ করে জানতে পারি, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাদার সিমকার্ডে ১৫,৫০০/- টাকা ছাড়া আর কোন টাকাই নাই। বিভিন্ন সময়ে মাদার সিম থেকে প্রায় সতের লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কোম্পানীর মাধ্যমে আরো জানতে পারি দীর্ঘদিন ধরেই জালিয়াতি মাধ্যমে টাকা গুলো অন্যত্র সরিয়েছে। যা আমার নজরে আসেনি। কারণ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় হিসাব সিহাবের কাছেই থাকতো।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাচ্চু মিয়া বলেন, এ ঘটনা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।