নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় সান্দিকোণা ইউনিয়নে হারাকান্দি গ্রামের কৃষক মো. আজিম উদ্দিনের প্রায় দেড় একর কৃষিজমিতে সেচ না পাওয়ায় বোরোধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গত ৩০ জানুয়ারি কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী কৃষকের ছেলে গার্মেন্টসকর্মী মো. জহিরুল ইসলাম।
জহিরুল ইসলাম জানান, তিনি ঢাকায় চাকরি করলেও তার বৃদ্ধ বাবা-মা গ্রামে থাকেন। তাদের দেড় একর জমির চাষাবাদই পরিবারের খাদ্য চাহিদা মেটানোর প্রধান উৎস। গার্মেন্টসের চাকরিতে পর্যাপ্ত আয় সম্ভব না হওয়ায় এবং বর্তমানে চাকরির অবস্থাও খারাপ হওয়ায়, এই জমি তাদের জীবিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে গত ছয় বছর ধরে একই গ্রামের সেচ পাম্পের মালিকরা মো. আ. হেকিম, আবুল কালাম ও জুলহাস মিয়া তাদের জমিতে সেচ দিতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে বোরোধানের চারা রোপণ করতে পারেননি। বহু চেষ্টা করেও সেচ না পাওয়ায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও প্রতিকার না পেয়ে তিনি গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। চাকরির ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় তার চাকরিও হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, সেচপাম্পের মালিক আ. হেকিম, আবুল কালাম ও জুলহাস মিয়া জানান, তাদের পক্ষ থেকে সেচ দিতে কোনো আপত্তি নেই এবং আগেও সেচ দিতে তারা কখনও অস্বীকৃতি জানাননি। তবে গ্রামবাসীর সঙ্গে মসজিদের জায়গা নিয়ে সমস্যা থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, তিনি নিজে এ বিষয়ে দুইবার শুনানি করেছেন এবং ইউনিয়ন প্রশাসকও কয়েকবার সমাধানের চেষ্টা করেছেন। অভিযোগকারীকে সেচ নিতে বলা হলেও তিনি তা মানেননি এবং কোনো সহযোগিতা পাননি।