বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ গণঅভ্যুত্থানের পর সাড়ে চার মাসে দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ২৩ জনকে হত্যার যে অভিযোগ করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার।পুলিশ সদর দপ্তরকে উদ্ধৃত করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে ২৩টি ঘটনার ২২টির প্রাথমিক কারণ সম্পর্কে পুলিশ অবগত হয়েছে এবং যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।
“যে ২২টি ঘটনার বিস্তারিত ইতিমধ্যে জানা গেছে তার মধ্যে একটি ঘটনার সঙ্গেও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কোনো সম্পর্ক নেই। হত্যাকাণ্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ সাতটির সঙ্গে চুরি ও দস্যুতার সম্পর্ক রয়েছে।”প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি ঘটনাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে আইনি পদক্ষেপ ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।
“এই ২৩ ঘটনার দুটোতে যেখানে আত্মহত্যা ও পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা রয়েছে সেই দুটি পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। অপর ২১টি তদন্তাধীন মামলায় ইতিমধ্যে ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৭ জন নিজেদের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।”
এতে আরও বলা হয় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ধরনের সহিংসতাকেই সমর্থন করে না। একই সঙ্গে এই ধরনের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বলে প্রচারকে উদ্বেগজনক বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার।এই ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা দেশের সার্বিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সূত্রপাত ঘটাতে পারে বিবেচনায় সব পক্ষকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানায় অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ২৩ জনকে হত্যার অভিযোগ তুলেছিলো।