সোমবার মাসুদ সাঈদী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে আবেদনের কপির ছবিসহ এই তথ্য শেয়ার করেন।এই জিয়ানগরের উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন মাসুদ সাঈদী।
তিনি বলেন, ‘২০০২ সালের ২১ এপ্রিল পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ঐকান্তিক চেষ্টা ও পরিকল্পনায় মাত্র ৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় ‘জিয়ানগর’ উপজেলা। আল্লামা সাঈদীর আমন্ত্রণে জিয়ানগর উপজেলা উদ্বোধন করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ২০০২ সালে উপজেলাটি উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে ২০০৬ সালে এমপির মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত এই সময়কালে জিয়ানগর উপজেলার সকল অবকাঠামোগত উন্নয়ন আল্লামা সাঈদীর হাত ধরেই হয়েছে।’
মাসুদ সাঈদী বলেন, ২০০৯ সালে ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আরোহন করে। এরপর আল্লামা সাঈদীর জন্মস্থান শুধু এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় শেখ হাসিনা গোটা উপজেলার সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেন। এরপর ২০১৭ সালে জিয়ানগর উপজেলার নাম পরিবর্তন করে ‘ইন্দুরকানী’ রাখা হয়। ওই সাল থেকে হাসিনার পতন হওয়া পর্যন্ত এই উপজেলা সরকারি নথিপত্রে ইন্দুরকানী নাম হলেও এলাকাবাসী শুরু থেকেই এই উপজেলাকে জিয়ানগর নামেই ডাকে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে খুনি হাসিনার পতনের পর সকল দল ও মতের মানুষের নিরংকুশ সমর্থনে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে গঠিত সেই সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ এ এফ হাসান আরিফ। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় পরিবর্তন করে রাখা ইন্দুরকানীকে পূণরায় জিয়ানগর করার দাবিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের সাথে সাঈদীপুত্র ৫ সেপ্টেম্বর সাক্ষাৎ করেন। হাসান আরিফের নিকট জিয়ানগর উপজেলাবাসীর পক্ষে তিন হাজারের অধিক মানুষের স্বাক্ষর সম্বলিত নাম পরিবর্তনের আবেদন করেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘সাক্ষাৎকালে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ আমাকে আমার প্রয়োজনের থেকেও অনেক বেশি সময় দিয়েছিলেন। আব্বার মামলা ও চিকিৎসার নামে পিজি হাসপাতালে এনে হত্যার বিষয়েও অনেক কিছু জানতে চেয়েছিলেন। তার কথা খুব মনোযোগ দিয়ে তিনি শুনেছিলেন। আশ্বস্ত করেছেন— ‘আল্লামা সাঈদীর হাতে গড়া উপজেলা আবার জিয়ানগর নামেই ফিরবে’।
জিয়ানগর নাম পুনর্বহালের বিষয়ে জনমত যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে উপজেলার তিনটি স্থানে জনসমীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। স্থান ও সময় হলো: ১. বালিপাড়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সকাল ১১টায়। ২. উপজেলা পরিষদ মাঠে দুপুর ১২টায়। ৩. টগড়া দারুল ইসলাম কামিল মাদরাসা মাঠে বিকাল সাড়ে ৩টায়।
যথা সময়ে এসব স্থানে উপস্থিত থেকে এই উপজেলার নাম জিয়ানগর পুনর্বহালে মতামত প্রদান করার জন্য উপজেলাবাসীকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান সাঈদীপুত্র। এমন উদ্যোগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বর্তমানে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।