রুহুল আমিন,ডিমলা(নীলফামারী)
শিক্ষা দিবস উপলক্ষে সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ছাত্র জনতা।
বৃহস্পতিবার(১৯ সেপ্টেম্বর)বিকেলে নীলফামারীর ডিমলার বালাপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে ও ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী তানহা আক্তার তাবাসসুম’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,রাশেদুজ্জামান রাশেদ,জাফর হোসেন, জাকির ইসলাম, রাব্বি ইসলাম, মজিবুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন,উপজেলার বিভিন্ন সরকারি কলেজ সহ সকল কলেজের নিয়মিত ক্লাস, শিক্ষক সংকট, লাইব্রেরী—ল্যাবরেটরির মান উন্নয়ন, সকল কলেজের ছাত্র—সংসদ নির্বাচন ও গণপরিবহনে ছাত্রদের হাফ ভাড়া চালু করা সহ ডিমলায় পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্বশাসিত স্কুল কলেজের দ্রুত নির্মাণ করাসহ বিভিন্ন দাবীতে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯৬২ সালে পাকিস্তানের শিক্ষা সচিব এস এম শরীফের নেতৃত্বে গঠিত শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি তার
রিপোর্ট পেশ করেন। শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণকে অবারিত করতে রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছিল। ‘সস্তায় শিক্ষা লাভ করা যায় বলিয়া তাহাদের যে ভুল ধারণা রহিয়াছে, তা শীঘ্রই ত্যাগ করিতে হইবে’। যেমন দাম তেমন জিনিস। এই অর্থনৈতিক সত্যকে অনন্য ব্যাপারে যেমন— শিক্ষার ব্যাপারে তেমনি এড়ানো দুষ্কর। এই শিক্ষা নীতি বাতিলের দাবীতে ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আহ্বান করা হয় সর্বত্র হরতাল। সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনের সামনে থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও জনতা মিছিল শুরু করেন। ছাত্র—জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধে আইয়ুব সামরিক জান্তার এই শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন থেকে পিছু হটে। কিন্তু স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হওয়ার পরও ‘টাকা যার শিক্ষা তার’ শিক্ষা নীতিতেই বহাল রয়েছে। শিক্ষার প্রধান ধারাই এখন বেসরকারি ধারা। এই ৫৩ বছরে অনেকগুলো শিক্ষানীতি প্রণয়ন হলেও জনমানুষের সার্বজনিন বৈষম্যহীন বিজ্ঞানভিত্তিক একই ধারার শিক্ষা দাবী আজ সময়ের দাবী।