সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মহালিয়া হাওর উপ-প্রকল্পের ৫৮ ও ৫৯ নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) নির্মাণ করা ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার। এই দুটি বাঁধের মাটি দুরমুজ করা, ঢাল বজায় রাখা, মাটি ফিনিশিং করা ও ঘাস লাগানোর কাজ সঠিক ভাবে হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। বাঁধের নির্মাণ কাজ সঠিক ভাবে না করার ফলে আগাম বন্যা কিংবা পাহাড়ি ঢল নামলে হুমকিতে পড়বে হাওরের একমাত্র বোরো ফসল।
শুক্রবার বিকেলে মহালিয়া হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন কালে বাঁধের কাজে অনিয়ম দেখে এমপি রনজিত চন্দ্র সরকার অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় সঙ্গে সঙ্গে পিআইসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদারকে অনুরোধ করেন। মহালিয়া হাওর উপ প্রকল্পের ৫৮ নং পিআইসির সভাপতি হাবুল মিয়া এবং ৫৯ নং পিআইসির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন মো. লুতফুর রহমান। এদিকে অভিযোগ আছে, তারা সময় মতো বাঁধের কাজ শুরু ও নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেন নি। এমনকি সঠিক ভাবে বাঁধের নির্মাণ কাজ করার জন্য উপজেলা পাউবো থেকে একাধিক বার নির্দেশ করা হলেও তারা তা অমান্য করেন। অদৃশ্য কারণে এসব বাঁধের নির্মাণ কাজ সঠিক ভাবে করা হয়নি।
মহালিয়া হাওরের এই দুটি বাঁধের কাজে কিছুটা অনিয়ম হয়েছে স্বীকার করে তাহিরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী বলেন, বাঁধের কিছু অংশের ঘাস নষ্ট হয়েছে, স্লোপেও সমস্যা আছে। সংশ্লিষ্ট পিআইসিদের নির্দেশ করা হয়েছে যেন পুনরায় সঠিক ভাবে কাজটি করা হয়।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রনজিত চন্দ্র সরকার বলেন, ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। সে যেই হউক বাঁধের নির্মাণ কাজ সঠিক ভাবে না করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে বলবো।