আজ চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মীয়মাণ রেলপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে ঢাকাসহ গোটা বাংলাদেশের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ শুরু হবে ।
এর মাধ্যমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার চালু হবে ট্রেন চলাচল। প্রথম ধাপে কক্সবাজার পর্যন্ত কাজ শেষ করতে হয়েছে বলে তিনি জানান। মিয়ানমারের রেল অবকাঠামোর দুর্বলতার কথা বলেছেন তিনি। এই প্রকল্প রামু থেকে ঘুমদুম পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। এটা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ বার্মার (মিয়ানমার) সঙ্গে যুক্ত হবে। বার্মার দিক থেকে রেলের যে অবকাঠামো সেখানে তারা পিছিয়ে আছে।
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন পর্যটন নগরী কক্সবাজার রেল সম্প্রসারণের স্বপ্ন পূরণের জন্য দেশবাসীকে আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল এই আইকনিক স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন।
গতকাল রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
জনাব সুজন বলেন, ট্রান্স এশিয়ান যে রেল চলাচলের কথা বলা হচ্ছে সেটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ বার্মার দিক থেকে চীন ও কুমবিংয়ের সঙ্গে যে রেলপথ সেটি বার্মা বা চীনের সরকারের সহায়তায় যতদিন বাস্তবায়ন না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, এই রেলপথ নির্মাণে রাজনৈতিক একটা প্রভাব পড়বে। নির্বাচনি যে অঙ্গীকার ছিল সেটা পূরণ করা হয়েছে, উন্নয়নের এই ধারায় মানুষ তার সঙ্গে থাকবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বরের এক তারিখে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। একটি আন্তঃনগর ট্রেন দিয়ে শুরু হবে। একটা মেইল ট্রেন দোহাজারী পর্যন্ত চলাচল করে, সেটা পরবর্তীতে কক্সবাজার পর্যন্ত আসবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে।