রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই কমেছে লোডশেডিং। স্বস্তি ফিরেছে সার্বিক জনজীবনে। গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে দুই সপ্তাহ ধরে চলা তাপপ্রবাহ কমেছে।
এতে কমেছে বিদ্যুতের চাহিদাও। অন্যদিকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে ভারতের আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদিত বাড়তি বিদ্যুৎ।
রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুই বিতরণ কম্পানিকে আজ শনিবারও লোডশেডিং করতে হয়নি। এতে রাজধানীর মানুষ লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে।
তবে গ্রামাঞ্চালে লোডশেডিং পুরোপুরিভাবে না কমলেও আগের তুলানায় অনেকটাই পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে বলেও গ্রাহকরা জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। প্রতিষ্ঠানটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১০ জুন) বিকেল ৫টার সময় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১১ হাজার ৬৭০ মেগাওয়াট। তার মধ্যে উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৫৬০ মেগাওয়াট।
এই সময় লোডশেডিং ছিল মাত্র ১১০ মেগাওয়াট। যেখানে মাত্র তিন দিন আগেও দিনের এই সময়ে ২৫০০-৩০০০ মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং ছিল।
প্রায় টানা দুই সপ্তাহ তাপপ্রবাহ ও ঘন ঘন লোডশেডিং অতিষ্ট করে তুলেছিল জনজীবন। মধ্যরাতেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছিল মানুষ। এতে অনেকে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছিল।
রাজধানী ঢাকায় গড়ে চার-পাঁচ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হলেও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছিল। এর মাঝে বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিতে ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। কয়েক দিন ধরে যা ছিল ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেছে।
ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির সূত্রে জানা গেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন এলাকায় এখন কোনো লোডশেডিং নেই।
এদিকে ভারতের ঝাড়খণ্ডে নির্মিত আদানি গ্রুপের চালু প্রথম ইউনিট থেকে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। গত বুধবার থেকে দ্বিতীয় ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। এতে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটটি পূর্ণ ক্ষমতায় চালানো হচ্ছে। দুই ইউনিট থেকে এখন এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ আসছে।