যশোরের শার্শার বেলতলা আম বাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে চাঁদাবাজ মনিরুল ইসলাম ওরফে (কালো মনি) সহ ৫জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা করেছে পুলিশ। আসামীরা হলো কলারোয়ার গোলায়চাতর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে নাইম (২৩), কেরালকাতা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড কিসমত ইলিশপুর গ্রামের আজিবার মোড়লের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৫) (কালা মনি), শফিউল্লার ছেলে রাসেল (২৮), শার্শা উপজেলার বাগুড়ী গ্রমের হযরত গাজীর ছেলে মনি @ ভিলেন মনি (৪৫), রাড়ীপুকুর গ্রামের সিদ্দিক গাজীর ছেলে রফিকুল (২৭)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাগআঁচড়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নামে আম পরিবহন ট্রাক থেকে ভয়-ভীতি ও জোর পূর্বক ভাবে দীর্ঘ ৩ বছর যাবত চাঁদাবাজি করে আসছে এই মনিরুল @ কালা মনি, এবং তার সহযোগী হিসাবে কাজ করছে মনি @ ভিলেন মনি, রাসেল, রফিকুল ও নাইম।
উল্লেখ্যঃ- গত বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাতে মনিরুলের সহযোগী নাঈম হোসেনকে চাঁদা আদায় করার সময় হাতেনাতে আটক করে শার্শা থানা পুলিশ। পরে তার দেওয়া স্বীকার উক্তি মতে চাঁদাবাজির মূলহোতা মনিরুলকে আসামী করে শার্শা থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলার নাম্বার ৩৮৫/৩৮৬ পেনাল কোড শার্শা থানা যশোর।
এদিকে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনিরুল ওরফে (কলো মনির) ট্রাকে চাঁদাবাজিসহ এলাকায় একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তার নামে। গত ১০ই মে শাহজানের আড়ৎ এ অবস্থানরত এক আম ব্যাপারি চাঁদার টাকা দিতে দেরি হওয়ায় কালো মনির লোকজন ব্যাপারি কে বেধরক মারধর করেন এবং আম বাজারে ত্রাশ সৃষ্টি করেন। তার চাঁদাবাজির কারণে বেলতলা বাজারে স্থানীয় আম ব্যবসায়ী ও ব্যাপারীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এতে করে চাঁদাবাজ মনিরুল ওরফে (কালো মনির) কে আটকের জোর দাবী জানিয়েছেন ট্রাক ড্রাইবার, আম ব্যাপারী ও এলাকাবাসী।