তাসলিমুল হাসান সিয়াম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি: বৈদ্যুতিক পাখার যুগে অনেকটা হারিয়েই যেতে বসেছে হাতপাখা। তবে দেশে বর্তমানে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে হাতপাখার কদর বেড়েছে। লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা ও তীব্র গরমে মানুষের ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শোভা পাচ্ছে হাতপাখা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর হাতপাখা নাড়িয়ে কিছুটা প্রশান্তি খুঁজছেন গ্রামাঞ্চলের মানুষ। গত দুই সপ্তাহে হাত পাখা বিক্রির হিড়িক পড়েছে উত্তরের জেলা গাইবান্ধায়
গাইবান্ধা পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম মিয়া বলেন তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে গত কয়েক দিনে হাতপাখা বিক্রি বেড়েছে। তিনি দৈনিক পাইকারি ৭০ থেকে ১০০ পিছ হাতপাখা বিক্রি করেছেন। তাঁর দোকানে সুতার, বেতের, কাপড়ের, বাঁশের, তাল পাতার ও প্লাস্টিকের হাতপাখা রয়েছে। প্রতিটি হাতপাখা খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি করছেন তিনি।
পাখা কিনতে আসা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের অটোরিকশা চালক জাকির হোসেন বলেন, ‘একদিকে দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না অন্যদিকে তীব্র গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তাই একটি হাতপাখা কিনেছি। অন্তত সাময়িক সময় কিছুটা গরম থেকে স্বস্তি পাব।’
গাইবান্ধা তিন গাছ তল এলাকার গৃহিণী ফাতেমা বেগম বলেন, ‘দৈনিক ৪ থেকে ৫ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে শিশুদের নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এখন বৈদ্যুতিক পাখার পরিবর্তে হাতপাখা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি। হাতপাখা নাড়াতে নাড়াতে একপর্যায়ে হাত ব্যথা হয়ে ওঠে। অপেক্ষায় থাকি কখন বিদ্যুৎ আসবে।’
গাইবান্ধা পল্লি বিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুস বলেন , আমাদের চাহিদা দৈনিক ৫১ মেগাওয়াট কিন্তু আমরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না ফলে জেলার বিভিন্ন স্থানে তিন থেকে চার ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এ জন্য আমরা গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করছি কোরবানির ঈদের আগে এ সমস্যার সমাধান হবে।