অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের দেওয়া একের পর এক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জ্বালানি তেল রপ্তানিতে রেকর্ড করেছে রাশিয়া। গত বছর যে পরিমাণ তেল দেশটি রপ্তানি করেছে, তা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তবে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ রুশ তেলের দাম বেঁধে দেওয়ার কারণে তেল রপ্তানি থেকে আয় বেশ কমে গেছে রাশিয়ার। জ্বালানি পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ তথ্য।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তার জেরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশটির ওপর একের এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাশিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। সেসব নিষেধজ্ঞার মধ্যে রাশিয়ার তেলও অন্তর্ভূক্ত ছিল। তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার তেলের দামও নির্ধারণ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রুশ তেলের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা ও দাম বেঁধে দেওয়া পূর্ণমাত্রায় কার্যকর হয়।
এ পরিস্থিতিতে নিজেদের মুনাফা স্থিতিশীল রাখতে জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন ৫ লাখ ব্যারেল হ্রাস করেছে রাশিয়া। তবে আইইএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৮১ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করেছে রাশিয়া এবং মার্চ মাসে এই পরিমাণ ছিল ৮৭ লাখ ব্যারেল।
তবে দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় তেল বিক্রি থেকে মুনাফা কমে গেছে দেশটির। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত তেল রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় ১৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় এই আয় ৪৩ শতাংশ কম।
প্যারিসভিত্তিক আইইএর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে ধীরে ধীর ফের মহামারিপূর্ব অবস্থায় ফিরে যেতে শুরু করেছে বৈশ্বিক অর্থনীতি। মহামারির প্রথম ২ বছরের তুলনায় চলতি বছর বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের দৈনিক রপ্তানি গড়ে ১ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে আইইএ।
টিএমবি/এস