ফেনীর ফুলগাজী উপজেলাধীন আমজাদ হাট ইউনিয়নের পেনাপুষ্করনী গ্রামের মৃত আবু আহমেদ ভূঁইয়ার ছেলে তোফায়েল আহমেদ কুঠি দুবাইয়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা বলে একাধিক প্রবাসীর কাছ থেকে অনুমান প্রায় ৬০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গা ডাকা দিয়েছেন। পাওনাদারদের আত্মসাত কৃত টাকা পেরত না দিয়ে উল্টো হত্যার হুমকিও দিচ্ছেন তিনি । এমনটাই অভিযোগ একাধিক ভুক্তভোগীর।
ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্যমতে, প্রবাসী ও দুবাইয়ের হাতিয়ে নেওয়া টাকায় ফেনী পৌর শহরের পাঠানবাড়ি রোডে ‘ভূঁইয়া মহল’ নামে তার একটি বিলাসবহুল বাড়ি , গাজী ক্রস রোডে টিনসেড বাড়ি, শান্তি কোম্পনী রোডে ’স্মার্ট লুক’ এর জায়গা, আমজাদ হাট বাজারে ‘ভূঁইয়া মহল বিলাসবহুল বাড়ী, পেনাপুষ্করনী গ্রামে ’ভূঁইয়া মহল’ নামে ডুপ্লেক্স বাড়ি, আনন্দপুরে, বক্সমাহমুদ , ঢাকার সিপাহী বাগ, বনশ্রীতে ৩ টি সুবিশাল বাড়ী সহ নামে বেনামে আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক বনে গেছেন তোফায়েল আহমেদ কুঠি।
কুমিল্লার বুড়িচং থানার প্রবাসী শাহ আলম দুবাইতে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পপুলার রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ ও মুনাফা বৃদ্ধির কথা বলে তার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া। উভয়ে বাংলাদেশি হওয়ায় খুব দ্রুত তাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে রিয়ের এস্টেট ব্যবসার আরও প্রসারের কথা বলে তার কাছ থেকে ৩১ লাখ দিরহাম হাতিয়ে নেন তোফায়েল আহমেদ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৭ কোটি টাকা। আবদুর রাজ্জাক আলী আল জুরুনি নামের একজনের সিলমোহর ব্যবহার করে কয়েক কিস্তিতে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে বাংলা টাকা প্রায় অনুমান ৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তোফায়েল। পরে কথা ও কাজের মিল না পেয়ে তাকে সন্দেহ করতে শুরু করেন শাহ আলমসহ ভুক্তভোগীরা । শাহ আলম বলেন, কয়েক ধাপে রশিদ ও সই দেখিয়ে কারও কাছে থেকে ৩১ লাখ, কারও কাছ থেকে ৩৫ লাখ, কারও কাছ থেকে ৪০ লাখ থেকে ৫০ লাখ দিরহাম নিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া। এদিকে প্রবাস পেরত ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম দেবপুর গ্রামের একজন ভুক্তভোগী আদনান সাইফুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন তার কাছে ১৫ হাজার দিরহাম হাতিয়ে নিয়েছে। পাওনা টাকা চাইলে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন।
এ বিষযয়ে তোফায়েলের বিরুদ্ধে দুবাইয়ে দুটি মামলাও দায়ের কর হয়েছে । মামলার ঘটনা জানার পর তোফায়েল আহমেদ সুযোগ বুঝে তার একাধিক সহযোগীসহ পরিবার নিয়ে দেশে ফিরে গা ঢাকা দিয়েছেন। ভূক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রী ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ও ফেনীবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযুক্ত তোফায়েল আহমেদের শাস্তি দাবি করেন।