অনলাইন ডেস্ক:-
কার্লো আনচেলত্তির বলেই রেখেছিলেন, এবার আমাদের পালা। বলার পেছনে কারণটা অবশ্য সবারই জানা।এল ক্লাসিকোতে সাম্প্রতিক সময়ের ম্যাচগুলোতে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়ে জিতেছে বার্সেলোনা। তাই অনেকটা আত্মবিশ্বাসের সুরেই সেই কথাটা বলেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ। দিনশেষে তাকে খুশিতে ভাসালেন করিম বেনজেমা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ফরাসি স্ট্রাইকার আবারও দেখা পেলেন হ্যাটট্রিকের। সেই হ্যাটট্রিকে ভর করে বার্সাকে স্রেফ উড়িয়ে দিল রিয়াল। ক্যাম্প ন্যুতে ৪-০ গোলের বড় জয়ে কোপা দেল রে’র ফাইনালে পা রাখে আনচেলত্তির দল। দুই লেগে মিলিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনাল পাড়ি দেয় তারা।
সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল বার্সা। ফিরতি লেগ নিজেদের মাঠে হওয়ায় ফাইনালে এক পা যেন দিয়েই রেখেছিল তারা। এর ওপর এল ক্লাসিকোতে সবশেষ তিন ম্যাচে জয়ের রেকর্ড তাদের। তাই অনেকটা কোণঠাসা অবস্থায় ছিল রিয়াল। কিন্তু ক্যাম্প ন্যুর আজকের রাতটা যে বেনজেমার হয়ে থাকবে সেটা কে জানত। এই মাঠেই কতশত কাব্য রচিত করেছেন লিওনেল মেসি। আজকের খেলার দশম মিনিটে মেসির নামে স্লোগান দিয়ে পুরো স্টেডিয়াম কাঁপিয়ে দেয় বার্সা সমর্থকরা।
সেই সমর্থকদেরই সময়ের ব্যবধানে স্তব্ধ করে দেন বেনজেমা। ক্যাম্প ন্যুতে রিয়াল ফুটবলারদের মধ্যে সবশেষ হ্যাটট্রিকটি ১৯৬৩ সালে ফেরেন্স পুসকাসের করা। এরপর একের পর এক মহারথী এসেছেন রিয়াল শিবিরে। কিন্তু কেউই সেই কীর্তি গড়তে পারেননি। অবশেষে বেনজেমার হাত ধরে দীর্ঘদিন পর ঘুচল সেই আক্ষেপ। লা লিগা নিজের সবশেষ ম্যাচটিতে হ্যাটট্রিক ছিল এই স্ট্রাইকারের। তিনদিনের ব্যবধানে আবারও তিন জালে বল ফেললেন তিনি।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালের শুরুতে অবশ্য দাপটই দেখায় বার্সা। রিয়ালের দুর্গে হানা দেয় বেশ কয়েকবার। বিশেষ করে রাফিনিয়া। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড কিছুক্ষণ পরপরই সুযোগ খুঁজছিলেন গোলের। কিন্তু তাকে দমিয়ে রাখেন এদুয়ার্দ কামাভিঙ্গা। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের পরিবর্তে আজ লেফট ব্যাক হিসেবে খেলেন এই ফরাসি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কাউন্টার অ্যাটাকের সাহায্যে গোলের দেখা পায় রিয়াল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধটা কেবল বেনজেমাময় বললে হয়তো ভুল হবে না। ৫০ তম মিনিটে নিজের প্রথম গোলটি করেন তিনি। তাতে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। ছয় মিনিট পর বক্সের মধ্যে ভিনিসিয়ুসকে ফাউল করে বসেন বার্সা ডিফেন্ডার ফ্রাঙ্ক কেসি। যার ফলে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। স্পট কিক থেকে গোল করতে একদম ভুল করেননি বেনজেমা। ম্যাচের ৮০ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের পাস থেকেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই স্ট্রাইকার। ফাঁকায় বল পেয়ে বার্সা গোলরক্ষককে সহজেই পরাস্ত করেন তিনি। ঘরের মাঠ হলেও বড় ধাক্কার পর চেনা আঙিনায় আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বার্সা।
এদিকে ফাইনালে আগামী ৬ মে ফাইনালে ওসাসুনার মুখোমুখি হবে রিয়াল। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের পর কোপা দেল রে থেকেও ছিটকে গেল বার্সা। বাকি রইল শুধু লা লিগা। সেখানে অবশ্য রিয়ালের চেয়ে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে তারা।
দ্যা মেইল বিডি/এম আর আর