নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় গড়াডোবা ইউনিয়নের বৃ-চিকনী গ্রামে মাছের ফিসারীতে বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমাণ মাছ নিধন ও বিশ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধনের অভিযোগে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ৩টায় বৃ-চিকনী গ্রামের স্থানীয় জনগণের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।
এ ঘটনা ঘটে গত ১১ অক্টোবর গভীর রাত ২টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে। ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষী একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে মো. জালাল মিয়া (২৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জালাল মিয়ার বসতবাড়ির পেছনে প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে একটি ফিসারী রয়েছে, যেখানে তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিং মাছ চাষ করে আসছেন। এ মৎস্য খামারে আনুমানিক এক লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার শিং মাছ ছিল এবং তা বিক্রির উপযুক্ত অবস্থায় ছিল।
ঘটনার রাতে তার বড় ভাই জামাল মিয়া পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। রাতের কোনো একপর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা সুযোগ নেয়। পরে ভোরে ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন ফিসারীর পানিতে সব মাছ মৃত অবস্থায় ভাসছে। তার ডাকচিৎকারে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে একই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন।
বাদী ও স্থানীয়দের ধারণা, কোনো অসাধু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী প্রতিহিংসাবশত ফিসারীতে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাছচাষী মো. জালাল মিয়া অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, জালালের প্রতিবেশী জোৎস্না আক্তার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে অনুষ্ঠিত এক গ্রাম্য সালিশে জোৎস্না আক্তারকে দায়ী করে ছয় লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। তবে তিনি এখনো উক্ত অর্থ পরিশোধ করেননি। যার ফলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ মানববন্ধনে এলাকাবাসী দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। তারা বলেন, “এভাবে পরিশ্রমী একজন যুবকের ফিসারীতে বিষ প্রয়োগ করে জীবিকা ধ্বংস করা মানবতার পরিপন্থী কাজ।”
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, “অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দায়ীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। প্রমাণ মিললে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


