ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা বাংলাদেশ হেল্থ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করেছে।শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ৮টায় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। বাংলাদেশ হেল্থ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন শাখার সভাপতি নুরুল হক হলুদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির আল-মাসুম নিরব।
কর্মসূচিতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ৬৫ জন কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী উপস্থিত ছিলেন। সভাপতি নুরুল হক হলুদ বলেন, মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য সহকারীরা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা প্রাপ্য মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। নেতৃবৃন্দ তাঁদের ৬ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। দাবিগুলো হলো- নিয়োগবিধি সংশোধন, শিক্ষাগত যোগ্যতায় স্নাতক ডিগ্রি সংযোজন, ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ। নেতারা জানান, ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দাবি মেনে নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
২০১৮ ও ২০২০ সালে আন্দোলনের সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও বাস্তব কোনো অগ্রগতি হয়নি। সর্বশেষ চলতি বছরের মে মাসে তিন মাসের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এর আগে ২৬ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এক মাসের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে সংগঠনটি আসন্ন টিসিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণে সম্মত হয়।
তবে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় এবার কেন্দ্রীয় দাবি বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির পথে হাঁটলেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ২৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান, ১ অক্টোবর থেকে ইপিআই কার্যক্রম, টিসিভি ক্যাম্পেইনসহ সব কার্যক্রম বর্জন। স্বাস্থ্য সহকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।##