ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলা জেলার চরফ্যাশন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট হযরত আলী হিরনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়িয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে তথ্যহীন, অসত্য ও মানহানিকর আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চরফ্যাশনের আইনজীবী সমাজ, বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। আইনজীবীরা বলেন, ওই প্রতিবেদন শুধু অ্যাডভোকেট হিরনের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ণ করেনি, বরং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত সমগ্র আইনজীবী সমাজকেও অসম্মানিত করেছে।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুল আলম প্রিন্স ও সদস্য সচিব হাজী জাহিদুল ইসলাম রাসেল অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন–পীড়নের শিকার হয়েছেন অ্যাডভোকেট হিরন। এই সময়ে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ১৮টি মিথ্যা ও গায়েবি মামলা। এমনকি ছাত্রদল নেতা রাজ্জাক হত্যা মামলায় চার্জশিটের বিরুদ্ধে না-রাজি আবেদন করার সাহস কেউ দেখাতে রাজি না হলেও হিরন ঝুঁকি নিয়ে আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সেই সময় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়ে তিনি মৃত্যুর মুখ থেকেও ফিরে আসেন।
বর্তমানে চরফ্যাশন আদালতের অতিরিক্ত পিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে হিরন নিরপেক্ষ থেকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তার পেশাগত সততা ও সাহসিকতার স্বীকৃতি বিভিন্ন গণমাধ্যমেও ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। চরফ্যাশনের আইনজীবীরা এক বিবৃতিতে বলেন, “আমার দেশ প্রতিনিধি কর্তৃক প্রকাশিত এই ভিত্তিহীন সংবাদ ন্যায়বিচারের পথে অন্তরায় এবং একজন সৎ, নির্ভীক ও ন্যায়পরায়ণ আইনজীবীর সম্মান ক্ষুণ্ণ করার ঘৃণিত প্রয়াস।”
তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। অন্যদিকে, দৈনিক আমার দেশে প্রকাশিত সংবাদকে “সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মনগড়া” আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট হযরত আলী হিরন। তিনি জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর অনলাইনে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশিত “চরফ্যাশনে ইউএনওর লুটপাটের তথ্য, হত্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি” শিরোনামের প্রতিবেদনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার নাম জড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, “সংবাদটিতে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে— যেমন রাজনৈতিক নেতা বা কর্মকর্তার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়া, মামলায় প্রভাব খাটানো বা সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া—এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কল্পিত।” এপিপি হিরন আরও জানান, তিনি সবসময় আইন ও বিধিমালা মেনে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং কখনো কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বা আর্থিক লেনদেনে জড়িত ছিলেন না। বিভ্রান্তিকর এ সংবাদ জনমনে ভুল ধারণা সৃষ্টি করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে তিনি প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।