জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল:
নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য (ইউপি সদস্য) ও যুবলীগ নেতা মোস্তফা কামাল (মোস্ত মেম্বার)কে ঘিরে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখা, পুরো ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার করে সাধারণ মানুষের ওপর নানা সময়ে জুলুম-অত্যাচারের অভিযোগ থাকা এই নেতাকে এখন বিএনপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া ও স্থানীয় মহলে তৈরি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরের দিন একই ইউনিয়নের ফেদি (আলীগঞ্জ) বাজার থেকে নৌকার বিরোধিতা করা বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী মোর্তজা এনামকে বেধড়ক মারপিটসহ কয়েকজনকে হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে মোস্ত মেম্বার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এছাড়া প্রকাশ্যে নৌকা বিরোধী এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, যুবলীগ নেতা মোস্ত মেম্বার বিএনপির এক প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে এলাকায় শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে আলোচনা। অভিযোগ উঠেছে, তিনি সুবিধাবাদী মনোভাব নিয়ে দলের পরিচয় পাল্টানোর চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে মোস্ত মেম্বারের সাথে কথা বললে তিনি দাবি করেন, “আমি আওয়ামী লীগের সাথে ছিলাম না, আমি বিএনপি পরিবারের সন্তান। আমার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ নেই।”
নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসর এবং সুবিধাবাদীরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে ঠাঁই পাবে না। দলের জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেছে, তাদের জায়গা নষ্ট করে কাউকে বসানো হবে না।”
তবে অনুসন্ধান বলছে, ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত মোস্তফা কামাল (মোস্ত মেম্বার) একজন যুবলীগ নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। ফলে তার হঠাৎ বিএনপির প্রতি ঝোঁক স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।