মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী তারু মিয়া প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে বিনা বাধায় চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা মদ, গাঁজা ও ইয়াবার ব্যবসা। তার কার্যক্রমে অতীষ্ট এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছিল মাদকের এই রমরমা কারবার। হঠাৎ করে গতকাল তার আটকের খবরে এলাকায় খুশির আমেজ বয়েছে।তবে কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে তা এখনো যানা যায় নি।
তবে এবারও কোন অদৃশ্য শক্তির জোরে পার পেতে যাচ্ছে তা আর বুঝার বাকি নেই।হয়তোবা কোন এক অজানা শক্তি না হয় অবৈধ কালো টাকার শেল্টারে কোর্টে যাওয়ার আগেই ছাড়া পেতে পারেন বলে এলাকাবাসী আশংকা প্রকাশ করছে।কে এই তারা মিয়া?কি তার শক্তি? যার প্রভাবে দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে কালো টাকার পাহাড় সহ গডফাদার সেজেগেছেন। মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ড আমলিতলা গ্রামের মিয়াচানঁ আলীর ছেলে তারা মিয়া ওরফে তারু মিয়া।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা তারা মিয়া ক্ষমতা আর টাকার জোরে ভাগিয়ে নিয়েছিলেন বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। তবে কি তাহলে ফ্যাসিস্ট শাসনামলে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সেজে অধর্মের কাজই বেশি করে গেছেন. কয়েক দশক ধরে প্রকাশ্যে চালিয়ে আসছে তার রমরমা ব্যবসা। শুধু তাই নয় মধ্যনগর উপজেলা জুড়ে রয়েছেন তাদের মদ, গাঁজা,ইয়াবার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসার সিন্ডিকেট।
কোন কিছুতেই থামছেনা তাদের দৌরত্ব। কাউকে তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের ডগায় উপর দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এই অবৈধ কারবার। জনমনে প্রশ্ন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এত খোলামেলা ভাবে ব্যবসা করে এই মাদক ব্যবসায়ী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী তারু মিয়া কে একাধিকবার মাদকের কারবার বন্ধ করতে বলা হয়েছে কিন্তু সে এসব কথায় কর্নপাত করছে না। উল্টো স্থানীয়দের বিরুদ্ধেই নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকে। তাদের দাবি, প্রশাসনকে নাকি ম্যানেজ করে এই অবৈধ কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল।
প্রকাশ্যে মাদক কারবারের কারনে এলাকায় চুরি ছিনতাই ডাকাতিসহ নানরকম অপরাধ বেড়েছে। তরুন-যুব সমাজ মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এলাকাবাসীর জোরালো দাবী এই সমস্থ মাদক ব্যবসায়ীরদের বিরুদ্ধে আইনের যথার্থ দ্বারা প্রয়োগ করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান নিশ্চিত করা। মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছি।
স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দদের মাদক,দখলবাজী, চাদাবাজী,মাস্তানি থেকে দূরে থেকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে।এছাড়াও থানা পুলিশের সহযোগিতায় মাদকসেবী ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা এ,এম স্বপন জাহান,তিনি বলেন আমাদের এই শান্তিপ্রিয় এলাকাটি ধীরে ধীরে মাদক ব্যবসায়ীদের স্বর্গ রাজ্যে পরিনত হয়েছে।অদৃশ্য শক্তির জোরে অনেকেই সর্বনাশা ইয়াবা সহ মদ গাঁজা স্পট বসিয়ে পাইকারি, খুচরা বিক্রি করে আসছে।
থানা প্রশাসন কে বার বার জানানো হয়েছে ভৌগলিক কারন সহ মাদক ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের ব্যপক প্রভাব থাকায় কোনভাবেই নির্মূল হচ্ছে না এই মাদক ব্যবসা।উল্টো মাদক কারবারিরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে যারাই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাদেরকেই হামলা ও মাদক ব্যবসায়ী সাজানোর অপচেষ্টা করা হয়।একারনেই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না তবে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগীতা পেলে অবশ্যই স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজ সহ যুবসমাজের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় মাদক ব্যবসা সমাজ থেকে বন্ধ করা হবে।
এবিষয়ে মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে পুলিশ। মাদকের সাথে সম্পৃক্ত কাউকে কোনপ্রকার ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশ মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। মধ্যনগর থানা পুলিশ, গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।