মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) থেকে:
সময়ে-অসময়ে নানান আলোচনা ও সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশিরভাগ আলোচিত হয়। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারাও যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই।আমরা সে দিকে লক্ষ না রেখে উল্টো সৎ ও নিষ্ঠাবান অফিসারদের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে তাের ইমেজ নষ্ট করার জন্য আদা-জল খেয়ে নেমে পরি।
আমার নিজ চোখে দেখা একজন সৎ, আদর্শবান পুলিশ অফিসার মধ্যনগর থানার ওসি সজীব রহমান।এরকম অসংখ্য পুলিশ অফিসার নিরবে নিভৃতে বিভিন্ন কলা কৌশল অবলম্বন করেও টিকে রয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে। সত্যি কথা বলতে ওসি সজীব রহমান একজন ব্যতিক্রমধর্মী মিষ্ট ভাষী পুলিশ অফিসার।
প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন জনগণ ও দেশের কল্যাণে। পুলিশ জনগণের বন্ধু” এই মন্ত্রকে বুকে ধারণ করে তিনি মধ্যনগর থানার নতুন পুলিশ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে দেশের কল্যাণে মধ্যনগরে অপরাধ দমন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” এই স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তাঁর প্রতিটি কর্মে। আর এতেই গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও কিছু সুবিধাবাদী অসাধু রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের চোখে। উনি যোগাদান করার পরপরই ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার গুজবলীগের ফেসবুক পেইজে উনি ও একজন আদর্শবান এএসআই মুহিনুর কে নিয়ে বিএনপিপন্থী পুলিশ আখ্যা দিয়ে বিরাট ধরনের মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে নবাগত এই ওসি ও এএসআইয়ের ক্লিন ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়।কারন একটাই উনি ফ্যাসিস্ট বিরোধী।
সেই মিথ্যা গুজব রটানো বন্ধ হতে না হতেই আবারো মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন নিউজের রোষানলে মানবিক এই পুলিশ অফিসার।ফ্যাসিস্ট বিরোধী মনোভাব ও নিষিদ্ধ সংগঠনের বেশ কিছু অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার পরপরই আবারও এই সৎ ও নিষ্ঠাবান অফিসার কে নিয়ে মিথ্যা গুজব রটানো হচ্ছে।কারন উনাকে যে কোন ভাবে এখান থেকে বদলি করতে পারলেই হবে।
এতে ফ্যাসিস্ট অপরাধী ও অসাধু ব্যক্তিবর্গদের গলার কাটা মুক্ত হলে, অবাধে অপরাধের রাজত্ব কায়েম করতে পারবে। শুধু মুষ্টিমেয় কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তির অসুবিধার কারনে এরকম আদর্শবান অফিসারের ট্রান্সফার করা কতটুকু আইনসংগত। ওসি সজীব রহমান মধ্যনগর থানার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, নিষ্ঠাবান ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। থানার অধিকাংশ মানুষই তাকে গরীবের বন্ধু ভাবে।
তিনি তার সততা, ও বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা, এবং মেধা দিয়ে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদকনির্মূল, সন্ত্রাসদমন, চাঁদাবাজীমুক্ত, চোর-ডাকাতের উৎপাত ও দখল বাজদের হাত থেকে এলাকায় কঠোর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করছেন। তার চোখে ধনী-গরীব, জেলে, রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণীপেশার মানুষ সমান। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেশে মানুষের মাঝে উপস্থিত হয়ে মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনছেন।
তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার। “মামলা নয়, আপোষ হলে ভালো হয়”-এই স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর থানায় অধিকাংশ অভিযোগ বাদী-বিবাদীর মধ্যে আপোষের মাধ্যমে সমাধান করে দেন। ফলে তিনি মধ্যনগর থানায় যোগদানের পর থেকে বিগত সময়ের তুলনায় থানায় মামলা বহুলাংশে কমে গেছে। তার মতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব।
প্রতিটি অপরাধ দমনে ওসি সজীব রহমানের মতো পুলিশ অফিসারের সান্নিধ্য পেলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করবে বলে মধ্যনগর থানাবাসী মনে করে। একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে শিষ্যের কাছ থেকে সেরাটুকু বের করে নিয়ে আনেন। একইভাবে তিনি তাঁর অফিসারদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে কাজ করিয়ে নেন।শত বিপদে, প্রতিকূলতার মধ্যে যিনি বট গাছের ন্যায় আগলে রাখেন অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের। ভালোবাসায় মুগ্ধ হন সাধারণ মানুষও।
থানায় আসা একব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিনি থানায় যোগদানের পর থেকে চুরি-ডাকাতি কমে যাওয়ায় রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। তিনি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ। জানতাম না এতো মানবিক অনুভূতির পুলিশও আছে। মধ্যনগর উপজেলা বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,নবগঠিত এই উপজেলার এই থানার বিগত দিনে যোগদান করা অফিসার ইনচার্জদের তুলনায় ওসি সজীব রহমান একজন আদর্শবান,দক্ষতাসম্পন্ন মানবিক পুলিশ অফিসার।উনাকে নিয়ে আওয়ামীলীগের পেইজ ও বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারনার তীব্র নিন্দা জানায় অনেকেই।এমনকি অনতিবিলম্বে এই সমস্ত মিথ্যা তথ্য রটানো দুষ্কৃতকারী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির জোর দাবী জানান।
মধ্যনগর থানার ওসি সজীব রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আইনের সেবক হয়ে জনতার সারিতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো, প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে ঠিক তেমন ভাবে আমি এই থানার মানুষের জন্য কাজ করব।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের বিগত পুলিশ সুপার ও নবাগত সুযোগ্য পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ স্যারের দিকনির্দেশনায় মধ্যনগর থানায় ওসি হিসেবে নিজ কর্মস্থলে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সহিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এমনকি এই থানাতে যতদিনই আছি ন্যায়,নিষ্ঠা ও সততার সাথে বাকি দিন গুলোও দায়িত্বপালন করে যাব।
তিনি আরো বলেন,আমাকে নিয়ে যে মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তিকর গুজব রটানো হচ্ছে। তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। অপরাধীরা যতই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করুক,সারা জীবন আপোষহীন ভাবে অপরাধ,মাদক,সন্ত্রাস,ও অবৈধভাবে দখলবাজদের বিরুদ্ধে যু্দ্ধ ঘোষনা করে যাব ইনশাআল্লাহ।তবে আমরা চেষ্টা করতে পারি অপরাধীদের ভালো হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন,আমরা সত্যিই মানুষের স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই। মন্তব্য -সাংবাদিক এ,এম স্বপন জাহান।