জবি প্রতিনিধি:
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিজ্ঞান চত্বর ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শান্ত চত্বরে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা পুলিশের এ ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইবতেদায়ি শিক্ষকরা যে বেতন পান, তা কোনোভাবেই একটি পরিবার চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়। আমরা ফ্যাসিবাদ পরবর্তী সময়ে পুলিশের আচরণে পরিবর্তনের আশা করেছিলাম। কিন্তু তারা বারবার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব শান্তা ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। তবুও ইবতেদায়ি শিক্ষাকে কেন জাতীয়করণ করা হবে না? পুলিশের হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা সন্ত্রাসী নয়, বরং পিতৃতুল্য শিক্ষক। এমনকি আমরা দেখেছি মাতৃতুল্য শিক্ষিকাদের উপরও একইভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এটি বর্বরোচিত এবং আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ বলেন, ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও অমানবিক। তারা সন্ত্রাসী নয়, বরং জাতি গঠনের কারিগর, অথচ তাদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে এ ধরনের আচরণ আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের লঙ্ঘন।
বাংলাদেশের ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করলেও, তাদের শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা হয়নি। আমরা এ বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। একটি মানবিক ও উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এ লড়াই অব্যাহত থাকবে। মিছিলে উপস্থিত জাস্টিস ফর জুলাই জবি শাখার আহ্বায়ক সজিবুর রহমান বলেন, জুলাই পরবর্তী সময়ে সকল প্রকার পুলিশি হামলার বিচার করতে হবে।
আমরা লক্ষ্য করেছি, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একবারের জন্যও পুলিশের অন্যায় কাজকে এড্রেস করে জনতাকে এই আশ্বাসটুকু দেন না যে, বিচার হবে। ইবতেদায়ি শিক্ষকদের দাবি পূরণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষা উপদেষ্টার নিন্দনীয় মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। বারংবার নাগরিকদের মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণকারী পুলিশ বাহিনীকে অতিসত্বর সংস্কারের পদক্ষেপ নিতে হবে। জুলাইয়ের গণহত্যায় জড়িত সকল পুলিশকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।