ববি প্রতিনিধি :
তামজিদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দুই হল সহ লাইব্রেরির নাম পরিবর্তন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। হল দুইটির মধ্যে একটি মেয়েদের ও একটি ছেলেদের। শিক্ষার্থীরা পুরাতন নামের স্থানে ব্যানার টাঙিয়ে নতুন নামকরণ করেন। শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা হলের নাম রাখেন “কবি সুফিয়া কামাল হল”, বঙ্গবন্ধু হলের নাম রাখেন “বিজয়-২৪ হল”, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি নাম রাখেন “কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার”।
হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রেদোয়ান বলেন “ছাত্র-জনতার রক্ত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা সরকার কখনো সম্মান পাওয়ার যোগ্য হতে পারে না। শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা এই দ্বৈত খুনী সরকারের হাত থেকে বাংলাদেশের জনগণ আজ মুক্ত। বাংলাদেশের জনগণ আজ থেকে স্বাধীনভাবে নিশ্বাস নিতে পারছে।
এ পরিবর্তনের ছোয়া এসেছে ছাত্র জনতার হাত ধরেই। তাই আমি মনে করি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি শিক্ষাঙ্গনেই এই ধরনের পরিবর্তন দরকার।সেই সাথে জোর দাবি জানাচ্ছি এই ক্ষুনী ফেসিস্ট সরকার দের নাম বইয়ের পাতা থেকে উচ্ছেদের। যাতে করে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে কোন বিভ্রান্তির শিকার না হয়”।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আল হাসান বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে আমরা শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে হলের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। প্রশাসন নাম পরিবর্তনের জন্য কমিটি করলেও তাদের কোনো কার্যকর মিটিং হয়নি বা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিচ্ছিল না।
প্রশাসন ব্যর্থ হলে আমরা শিক্ষার্থীরা পরিবর্তন করে দিয়েছি। আমরা সম্মিলিত সিদ্ধান্তে, নামগুলো নির্ধারণ করেছি। এগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক হবে না। বঙ্গবন্ধু হল প্রভোস্ট মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হলের নাম পরিবর্তন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি মিটিং করেছি।
পরে উপাচার্যের সঙ্গে এ বিষয়ে কিছু কথা বলা হয়েছে। কমিটি থেকে নামের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে শিক্ষার্থীরা যদি কিছু করে থাকে তবে সেটা তাদের ইচ্ছা থেকে করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নাম পরিবর্তন-সংক্রান্ত যে কমিটি হয়েছে, ওই কমিটিতে বিভিন্ন নাম সাজেস্ট করবে। সে সাজেশনের ওপর ভিত্তি করে সিন্ডিকেট একটি ডিসিশন নেবে। সেই ডিসিশন যখন অ্যাপ্রুভ হবে, তখন ফাইনালি নাম চেঞ্জ হবে। কমিটি থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসছে কি না, এ বিষয়ে আমার জানা নেই