সরকারি বিভিন্ন ব্যাংক ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ৯ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা ঋণের ভারে জর্জরিত ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। এর মধ্যে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়া প্রতিষ্ঠানটির জন্য যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে। ২০১৬ সালে ঋণের টাকায় উচ্চ দরে ‘পচা শেয়ার’ কিনে প্রতিষ্ঠানটি এখন প্রায় ১৩শ কোটি টাকা লোকসান গোনার পথে।
আইসিবি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৬ সালে তুলনামূলক বেশি দামে ‘পচা শেয়ার’ কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. হাবিবুর রহমানের। হাবিবের বুদ্ধিতেই তখন খুঁজে খুঁজে সবচেয়ে দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার বেশি দাম দিয়ে কেনা হয়েছিল। এর পর থেকে এসব শেয়ারের বেশিরভাগ আর কখনোই লাভে ফেরেনি। ফলে ঋণের টাকায় কেনা শেয়ারগুলো এখন বিক্রিও করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি, কারণ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকায় কেনা শেয়ারের বাজারমূল্য দুই-তৃতীয়াংশই কমে গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ১ হাজার ৯২৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাতের ৪১টি কোম্পানির শেয়ার কিনেছে আইসিবি। এই কোম্পানির প্রায় সব কটির অবস্থাই এখন নাজুক। ফলে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে চড়া দামে কেনা এসব কোম্পানির বেশিরভাগের শেয়ারের দামই এখন ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারও বেশি পড়ে গেছে। ১ হাজার ৯২৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় কেনা শেয়ারগুলোর বাজারমূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ৬৩৪ কোটি ৯ লাখ টাকা। এতে ১ হাজার ২৯৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে আইসিবি। ফলে যেসব সাধারণ বিনিয়োগকারী আইসিবির শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিলেন, তারাও পড়েছেন বিপাকে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কারসাজিতে জড়িতদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই মূলত বেছে বেছে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কেনা হয়ে থাকে, যার প্রভাব পুরো পুঁজিবাজারের ওপর পড়ে। এতে দেশের অর্থনীতির ওপর যেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, এর সঙ্গে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হন।
আইসিবি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৫-১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্বে ছিলেন মো. ইফতিখার-উজ-জামান। এমডির ঘনিষ্ঠ হিসেবে তখন আইসিবির গুরুত্বপূর্ণ উইং পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্টে বিভাগের দায়িত্ব পান হাবিবুর রহমান।অভিযোগ রয়েছে, সে সময় পুরো আইসিবিতে খবরদারির পাশাপাশি শেয়ার কেনার ক্ষেত্রেও হাবিবুর রহমান একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন।
আইসিবির উচ্চপর্যায়ের অন্তত দুজন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত আইসিবির পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন হাবিবুর রহমান। এমডির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত থাকায়, আইসিবিতে একক আধিপত্য ছিল তার। তখন দেখে দেখে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারগুলো কেনা হয়েছে। ওই সময়ে বোর্ড মিটিংয়েও এসব দুর্বল শেয়ার কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।
তাদের দাবি, হাবিবুর রহমানই মূলত এসব মানহীন শেয়ার কিনতে উদ্বুদ্ধ করতেন, যে শেয়ারগুলোর বেশ কটির দাম এখন এক কাপ চায়ের দামের চেয়েও কম। ঋণ করে এসব দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কেনা আইসিবির মতো একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বেমানান। কিন্তু সে কাজটিই হাবিবুরের সময়ে হয়েছে। এতে আইসিবি হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসানের মুখে পড়েছে।
ওই দুই কর্মকর্তার মতে, দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে অনৈতিক লেনদেনের সম্ভাবনা থাকে। কারণ যেসব অন্ধকার গ্রুপ শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণ করে লুটপাট করে, তাদের কথামতো শেয়ার কেনাবেচায় থাকলে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকে। আইসিবির মতো নিয়ন্ত্রণকারী একটি প্রতিষ্ঠান এমন মানহীন শেয়ার কিনে গলায় কাঁটা বাঁধাবে—এর সুযোগ নেই। এর পেছনে অবশ্যই ষড়যন্ত্র কিংবা ব্যক্তিগত লাভের বিষয় রয়েছে।
তবে ‘পচা শেয়ার’ তথা দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কেনায় ভূমিকা রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাবিবুর রহমান। কালবেলাকে তিনি বলেন, ‘এই শেয়ার আমার একা কেনার কোনো ক্ষমতা নেই। আইসিবির পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্টের যে টিম ছিল, তারাই সিদ্ধান্ত নেয় কোন শেয়ার কিনবে আর কত শেয়ার কিনবে। এই শেয়ারগুলোও সেভাবেই কেনা হয়েছে। আর তখন মার্কেট প্রাইসের ভিত্তিতেই শেয়ারগুলো কেনা হয়। এখানে একক কারও দায়িত্ব নেই। এজিএম, জিএম, এমডি এবং ডিএমডি সব লেভেল মিলিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়ে এগুলো এক্সিকিউট করা হতো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘আইসিবির আগের কেনা বেশিরভাগ শেয়ারই ছিল জাঙ্ক। এসব শেয়ারের কারণেই মূলত আইসিবির বর্তমান অবস্থা। অনেক পচা শেয়ার কেনা ছিল বেশি দাম দিয়ে। আমরা চেষ্টা করছি এই সংকট কাটিয়ে ওঠার। তবে এই ঋণের ভার আইসিবির জন্য অনেক বড় বোঝা। ফলে কতটা কাটিয়ে উঠতে পারব, তা সময়ই বলে দেবে। আর তখন যদি কারও প্ররোচনায় এসব শেয়ার কেনা হয়ে থাকে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
কোন শেয়ারে কত লোকসান আইসিবির
আইসিবির ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে কেনা শেয়ারগুলোর দাম কমে চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর প্রায় তলানিতে নেমেছে। এর মধ্যে ৩৪ কোটি ৭৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৮ টাকায় কেনা ইফাদ অটোসের ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৯৮০টি শেয়ারের বর্তমান দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৪৬ টাকা। ১৮২ কোটি ৫৭ লাখ ৮০ হাজার ২৫৫ টাকায় কেনা আরএসআরএম স্টিলের ১ কোটি ৯৩ লাখ ৮১ হাজার ৯৫৬টি শেয়ারের দাম নেমে এসেছে ১৮ কোটি ৯৯ লাখ ৪৩ হাজার ১৬৯ টাকায়। ২৮৮ কোটি ৯২ লাখ ৩০ হাজার ৮০ টাকায় কেনা বিএসআরএম লিমিটেডের ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭টি শেয়ারের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১২১ কোটি ৭৫ লাখ ৮ হাজার ৮৪৭ টাকা।
ডরিন পাওয়ারের ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫৬০টি শেয়ার ৮০ কোটি ৯৮ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৯ টাকায় কেনা হয়, যার দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ১০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭২ টাকা। ৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮০২ টাকায় কেনা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ১ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮৭২টি শেয়ারের দাম নেমে এসেছে ২৩ কোটি ২১ লাখ ৭ হাজার ৬০২ টাকায়। ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৬ হাজার ৫৩০ টাকায় কেনা এবি ব্যাংকের ১ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ৮১৬টি শেয়ারের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৮১ লাখ ৯০ হাজার ৪৪৬ টাকা।
৬৮ কোটি ২৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৯ টাকায় কেনা অ্যাক্টিভফাইনের ১ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার ৬২১টি শেয়ারের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৯৬ লাখ ৪৮ হাজার ১৫৪ টাকা। ৭৬ কোটি ৮৫ লাখ ৭ হাজার ৪৯ টাকায় কেনা গোল্ডেন হার্ভেস্টের ১ কোটি ৩০ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪৪টি শেয়ারের দাম নেমে এসেছে ১৪ কোটি ১ লাখ ৯ হাজার ৪৮১ টাকায়। ৯৬ কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার ৪০৪ টাকায় কেনা ক্রাউন সিমেন্টের ৮৬ লাখ ৭০ হাজার ৮২৫টি শেয়ারের দাম কমে হয়েছে ৪২ কোটি ৫৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫০৮ টাকা।
বিএসআরএম স্টিলের ৫৪ লাখ ১৫ হাজার ২৫৯টি শেয়ার ৫৬ কোটি ২৯ লাখ ১৬ হাজার ১৭৩ টাকায় কেনা হয়, যার বর্তমান মূল্য ২৮ কোটি ৫৩ লাখ ৮৪ হাজার ১৪৯ টাকা। ২৫ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৪৭৯ টাকায় কেনা আরএকে সিরামিকের ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার ২০৫টি শেয়ারের বর্তমান মূল্য ৮ কোটি ৯০ লাখ ২২ হাজার ৮১৮ টাকা। ৭০ কোটি ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৮ টাকায় কেনা শাহজিবাজার পাওয়ারের ৪৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩৭১টি শেয়ারের দাম নেমেছে ১৭ কোটি ১৯ লাখ ১৩ হাজার ৯১৩ টাকায়।
আফতাব অটোর ৭৩ লাখ ৯৩ হাজার ১২০টি শেয়ার ৫১ কোটি ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩২৬ টাকায় কেনা হয়, যার বর্তমান মূল্য ২৭ কোটি ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৯৩৬ টাকা। ১৯ কোটি ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫৪১ টাকায় আরএন স্পিনের ৫৭ লাখ ৯০ হাজার ৭টি শেয়ারের বর্তমান বাজার মূল্য ৯ কোটি ২৬ লাখ ৪০ হাজার ১১২ টাকা। ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭৮ টাকায় কেনা অ্যাপোলো ইস্পাতের ২০ লাখ ৭৩ হাজার ১৫৪টি শেয়ারের দাম নেমে এসেছে ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০ টাকায়।
নাভানা সিএনজির ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৭টি শেয়ার ৪৬ কোটি ৮৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮৭ টাকায় কেনা হয়, যার বর্তমান মূল্য ১৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৭১৫ টাকা। আর্গন ডেনিমসের ৩৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩টি শেয়ার ১১ কোটি ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৪ টাকায় কেনা হয়, যার বর্তমান মূল্য ৫ কোটি ৯২ লাখ ২৯ হাজার ৭৪০ টাকা।
৮৩ কোটি ৮৯ লাখ ৮ হাজার ৬৯০ টাকায় কেনা পিএইচপি মিউচুয়াল ফান্ড-১ এর ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৪০টি ইউনিটের বর্তমান মূল্য ৩৩২ কোটি ৫৬ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬২ টাকা। ৪১ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯২ টাকায় কেনা বারাকা পাওয়ারের ৯২ লাখ ৮৭ হাজার ৫৯৩টি শেয়ারের দাম এখন ৯ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮৬ টাকা। ৫৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৮ টাকায় কেনা অলিম্পিক এক্সেসরিজের ১ কোটি ৮০ লাখ ৯০ হাজার ৬৮০টি শেয়ারের দাম কমে হয়েছে ১৩ কোটি ২০ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৪ টাকা।
বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ৮১ লাখ শেয়ার ৩৩ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ১৭৩ টাকায় কেনা হয়, যার বর্তমান মূল্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৬ হাজার ৫১৯ টাকা। ২৬ কোটি ৭৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬২ টাকায় কেনা জেনারেশন নেক্সটের ২ কোটি ২৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫০১টি শেয়াররে দাম কমে হয়েছে ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭০৪ টাকা। ৪৯ কোটি ৮৬ লাখ ৬১ হাজার ৩০৬ টাকায় কেনা সাইফ পাওয়ারের ৭৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৯৩টি শেয়ারের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮০ টাকা।
এসিআই ফরমুলেশনের ৫১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৬টি শেয়ার ১১৪ কোটি ২৬ লাখ ৯৩ হাজার ৮২ টাকায় কেনা হয়, যার বর্তমান মূল্য ৬৩ কোটি ৮৯ লাখ ১০ হাজার ৭০১ টাকা। ২৫ কোটি ৩০ লাখ ৯৯ হাজার ৩০ টাকায় কেনা ওয়ান ব্যাংকের ১ কোটি ৬ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি শেয়ারের দাম নেমে এসেছে ৯ কোটি ২২ লাখ ৮৬ হাজার ৭৩৮ টাকা। ১৭ কোটি ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৩০৭ টাকায় কেনা শাশা ডেনিমসের ২০ লাখ ৭৬ হাজার ৬২৩টি শেয়ারের দাম নেমেছে ৪ কোটি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ১০৯ টাকা।
১২ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ৪১৩ টাকায় কেনা ফ্যামিলিটেক্সের ১ কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৫৬৮টি শেয়ারের দাম কমে হয়েছে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৩১ হাজার ৩৪ টাকা। ৮ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৬ টাকায় কেনা ওয়েস্টার্ন মেরিনের ২০ লাখ ৫৪ হাজার ৪৮২টি শেয়ারের বর্তমান মূল্য ১ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৮ টাকা। ৩৬ কোটি ৯৯ লাখ ৩৪ হাজার ৬১৫ টাকায় কেনা ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ১ কোটি ৩৫ লাখ ২১ হাজার ২টি শেয়ারের দাম কমে হয়েছে ৯ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার ৭১৩ টাকা। ৭ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার ৮৩০ টাকায় কেয়া কসমেটিকের ৪১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯৩টি শেয়ারের দাম নেমেছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫৯ টাকায়।
সিভিওর ৯ লাখ ১২ হাজার ১০৮টি শেয়ার ২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৫৬১ টাকায় কেনা হয়, যার বর্তমান দাম ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৭৪ হাজার ৬৫৯ টাকা। ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৩৯ টাকায় কেনা ভ্যানগার্ডের ৫৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৮টি শেয়ারের দাম নেমেছে ২ কোটি ৯৮ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৪ টাকায়। ২ কোটি ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৪৭২ টাকায় কেনা ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬৮টি শেয়ারের দাম কমে হয়েছে ৬১ লাখ ৬ হাজার ১০৫ টাকা।
২৪ কোটি ৬৮ লাখ ৬৫ হাজার ৫৪১ টাকায় কেনা প্রিমিয়ার সিমেন্টের ২৪ লাখ ৭৩ হাজার ১০৭টি শেয়ারের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৮৬ লাখ ১ হাজার ৫৬৪ টাকা। ৪৬ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ২৪৯ টাকায় কেনা এটলাসের ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৩টি শেয়ারের দাম কমে হয়েছে ১৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭২ হাজার ২৭২ টাকা। এস আলম কোল্ডের ৫৬ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৮টি শেয়ার ২১ কোটি ৯৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৮ টাকায় কেনা হয়, যার বর্তমান মূল্য ৬ কোটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৭ টাকা।
২৫ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ২০ টাকায় কেনা মিথুন নিটিংয়ের ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ২৯১টি শেয়ারের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৫৩ লাখ ৭১ হাজার ১০৭ টাকা। ফার কেমিক্যালের ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫৭টি শেয়ার ১৩ কোটি ৭২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭০ টাকায় কেনা হয়, যার বর্তমান মূল্য ৯ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬ টাকা। ১৮ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ১১৯ টাকায় কেনা আইসিবি থার্ড বন্ডের ২ কোটি ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৪টি শেয়ারের দাম নেমেছে ১০ কোটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ৫৬৬ টাকায়।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ৪৮ লাখ ১২ হাজার ৯৯৩টি শেয়ার ৭ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৯ টাকায় কেনা হয়, যার বর্তমান দাম কমে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ টাকা এবং ৭ কোটি ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫০ টাকায় কেনা জাহিন স্পিনের ২৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯৭টি শেয়ারের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৪১ হাজার ৪৭৯ টাকায়।