ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার শহরে জমা পানি বেশিরভাগ এলাকা থেকে নেমে গেছে। তবে সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব ও ভারী বর্ষণের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে।
কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, সাগর উপকূলে লাবণী চ্যানেলে শুক্রবার এফবি রশিদা নামে একটি এবং সাগরের ইনানী পয়েন্টে পাঁচটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লারা কূলে উঠতে পারলেও পাঁচ জেলে নিখোঁজ আছে।
এ ছাড়া মোহাম্মদ জামাল (৩৭) ও নুরুল আমিন নামে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এবং নুরুল আমিনের বাড়ি বাঁশখালী এলাকায়।
সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ৩০ থেকে ৩৫টি ফিশিং ট্রলারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
এদিকে টানা বর্ষণের কারণে কক্সবাজার শহরের বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও কক্সবাজার জেলার রামু, উখিয়া, টেকনাফের কিছু কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। বাঁকখালী ও মাতামুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে শহর ও গ্রামে বন্যা দেখে দিতে পারে।
কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানান, সাগরে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত বলবৎ রয়েছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ২৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে।