তিমিরবনিক,মৌলবীবাজার প্রতিনিধি

টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে আসা ঢলে মৌলভীবাজার জেলার ৫টি নদ-নদীর পানি বিপৎসামীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদী, মনু, ধলাই ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে নদ-নদীর পানিতে ভাঙনে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশত গ্রাম ।

জেলা সদর, রাজনগর, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া, জুড়ী এবং বড়লেখা উপজেলায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বুধবার (২১ই আগস্ট) নিয়মিত বিবৃতিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার জানায়, সাগরের লঘু চাপের প্রভাব ও ভারতের অতি বৃষ্টির ঢলে পানি বেড়েছে।

জেলার জুড়ী নদে বিপৎসীমার প্রায় ১৭৪ সেন্টিমিটার ওপর, ধলাই নদে বিপৎসীমার ৮ সেমি ও মনু নদীর চাঁদনীঘাটে ৭০ সেমি ও রেলওয়ে ব্রিজে ১০৫ সেমি ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়াও মৌলভীবাজার শেরপুর পয়েন্টে কুশিয়ারা নদী পানি বিপৎসীমার স্পর্শ করেছে। এ দিকে তিন দিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে হাওর ও নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ি-ঘর প্লাবিত হচ্ছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ভয়ানকভাবে পানি বাড়ছে। নদ-নদীর বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।

আমরা জিও ব্যাগ ফেলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। নদ-নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কুলাউড়া উপজেলার টিলা গাঁও এলাকায় মনু-নদে ভাঙন দেখা দিয়েছে। রাজনগর এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদ-নদীর বাঁধ উপচে পানি প্রবাহিত হওয়ায় কতটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে তা সঠিক তথ্য এ মূহুর্তে বলা যাচ্ছে না।

এদিকে মৌলভীবাজার জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভা আজ দুপুর সাড়ে ৩টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ও প্লাবিত এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ ও নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version