কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাতের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন অন্তত ৭ এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তবে গতকাল শুক্রবার ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সাতক্ষীরায় ৬৯ পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। জামিন হলেও মামলা থেকে অব্যাহতি পাননি এসব শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের আইনজীবী ও অভিভাবকেরা দ্রুত সম্ভব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, মামলা মাথায় নিয়ে পরীক্ষায় বসা তাদের জন্য কঠিন হবে। পরীক্ষার আগে তারা এই চাপ নিতে পারবে না।
এর আগে দুপুরে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংসতা কিংবা নাশকতামূলক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় রুজু হওয়া মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ৩৬ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিনের শুনানি আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা সিএমএম কোর্টে অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটককৃতদের মধ্যে যদি কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকে, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনি সহায়তা দেবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইনি সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলন ঘিরে যেসব এইচএসসি পরীক্ষার্থী আটক হয়েছেন, তাঁদের জামিনের বিষয়ে আইনি সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের আটকের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য একটি ই-মেইল খোলা হয়েছে। এ বিষয়ে helphsc24@gmail.com ঠিকানায় মামলার নম্বর, আটক পরীক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের অনুলিপি এবং ঠিকানা দেওয়ার অনুরোধ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।