মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা,
ইবান্ধা সদর থানায় চাঁদাবাজির মামলায় মিলন খন্দকার গত ১৬ মে/২৪ তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশন আট সপ্তাহের অন্তবর্তী কালিন জামিন প্রদান করেন। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ( ১০ জুলাই) বুধবার জামিনের মেয়াদ শেষ হইলে,সাংবাদিক মিলন খন্দকার গাইবান্ধার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে গাইবান্ধা জেলা বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেন শুনানি অনতে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন ।
অপরদিকে,এই মামলার ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্তের জন্য আইজিপি মহোদয় বরাবর আনন্দ টিভি ও দৈনিক জনতার জেলা প্রতিনিধি,সাংবাদিক মিলন খন্দকার দরখাস্ত করলে। ১০ জুলাই ( বুধবার) রংপুর কোতয়ালী থানার রাস্তার দক্ষিন পাশে পুলিশ ক্লাবের নিচ তলায় পাঁচ নম্বর কক্ষে এই তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসির বিরুদ্ধে আইজিপি’র কাছে অভিযোগকারী বিচার প্রার্থী ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিলন খন্দকার, এ-ই মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন পুলিশ পরিদর্শক ( নি:) মোঃ তরিকুল ইসলাম। তিনি ডিসিপ্লিন অ্যান্ড প্রফেশনাল স্টান্ড্যার্ড ২ রংপুর জোন এর একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
উল্লেখ থাকে যে, ৮/৭/২৪ তারিখে নোটিশকারী মো: হুমায়ন কবীর গাইবান্ধা সদর থানা এ.এস.আই (নিঃ) সাংবাদিক মিলন খন্দকার বরাবরে চিঠি ইস্যু করেন সেখানে (১০ জুলাই)বুধবার সকাল ১০ টায় সাক্ষ্য প্রমানসহ রংপুর অফিসে উপস্থিত থাকতে বলেন সাংবাদিক মিলন খন্দকার কে, চিঠিতে আরও উল্লেখ থাকে যে বিষয়টি অতীব জরুরী। একই তারিখে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী জামিনের মেয়াদ শেষ হয় ১০ তারিখে, এইদিনে গাইবান্ধা আদালতে জামিনের জন্য উপস্থিত থাকার কারণে, রংপুর যাওয়া সম্ভব হয়না ।
জানা গেছে,গাইবান্ধা সদর উপজেলার নদীবেষ্ঠিত কামারজানীতে নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিনে-রাতে বালু উত্তলন করে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
এই চক্রের বিরুদ্ধে চলতি বছরের গত ১৭ ফেব্রুয়ারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন আনন্দ টিভিতে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রচার হয়। সেই সাথে প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় সংবাদটি।
পরে সংবাদের সূত্র ধরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কামারজানি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খন্দকার আজিজুর রহমান বাদী হয়ে এই চক্রের রানা মিয়া ও সাইফুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ ১২ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাতনামা অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর -২৯
ফলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করাসহ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মাহমুদ-আল হাসান অভিযান পরিচালনা করে বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত অন্তত ৭ টি গাড়ী জব্দ করে জরিমানা আদায় এবং অবৈধভাবে তুলে মজুদকৃত বালু নিলামে বিক্রী করাসহ প্রায় ১৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের কর্মযোগ্য বন্ধ হয়,
সাংবাদিক মিলন খন্দকার অভিযোগ তিনি বালু সিন্ডিকেটের চক্রের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম নামের ব্যক্তি, এখন তিনি নিজেকে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে সংবাদ প্রচারের প্রায় দের মাস পর সাংবাদিক মিলন খন্দকার, সুমন ও রকির বিরুদ্ধে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগ পেয়ে, প্রায় ১ মাস পর ( ২৪ এপ্রিল) সদর থানায় মামলাটি রুজু হয়।
মামলা নম্বর ৩২।
তবে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় রানা মিয়া নামে যাকে স্বাক্ষী করা হয়েছে তিনি সংবাদ প্রকাশের পরে কামারজানি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খন্দকার আজিজুর রহমানের গাইবান্ধা সদর থানায় দায়ের করা বালু মহাল আইনের মামলার এক নম্বর আসামী।
সাংবাদিক মিলন খন্দকার বলেন বালুর নিউজ করায় মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় আমাকে কারাগারে যেতে হচ্ছে। পুলিশ প্রিজনভ্যানে তোলার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন সত্যের জয় হবে।