জলঢাকা প্রতিনিধি:
নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায় বন্ধকী
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
এসময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ জুলাই (বুধবার) সকালে উপজেলার মীরগঞ্জ নিজপাড়া এলাকায়।
মামলা সূ্ত্রে ও সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,এ এলাকার অতিন চন্দ্র রায় গত ১ বছর পূর্বে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী বিরেন চন্দ্র রায় ও ধিজেন চন্দ্র রায়ের মোট ৮০ শতাংশ জমি বন্ধক নেয়।
প্রতিপক্ষ বিরেন চন্দ্র রায়ের ২০ শতাংশ জমি ৮০ হাজার টাকা ও ধিজেন চন্দ্র রায়ের ২ বিঘা জমি ২ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ২ বছরের জন্য একটি বন্ধকী স্টাম্প করে সুখে শান্তিতে বন্ধকি জমি চাষাবাদ করে ভোগদখল করে আসছিলেন।
এমতাবস্থায় এক বছর না যেতেই প্রতিপক্ষরা সুকৌশলে গত ২ জুলাই সকালে বন্ধকী জমির টাকা ফেরত দিবে বলে তাদের বাড়িতে ডেকে মাত্র ৮০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে জোরপূর্বক স্টাম্প নিয়ে ছিড়ে ফেলেন। স্টাম্পে উল্লেখিত বাকি টাকা দাবি করলে প্রতিপক্ষরা তাদের হুমকি ধামকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এমনকি বাকি টাকার কথা বললে প্রতিপক্ষরা তাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এরেই সূত্র ধরে গত ৩ জুলাই সকালে অতিন চন্দ্র রায়ের চাচাতো ভাই মতিন চন্দ্র রায় তার ব্যবসায়িক কাজে বাড়ি থেকে বের হলে প্রতিপক্ষরা দলবদ্ধ হয়ে পথরোধ করে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে এবং মতিনের দুই পায়ে লোহার রড দিয়ে মেরে জখম করে।
তাকে বাঁচাতে মা,ভাই,চাচাতো ভাই, চাচি এগিয়ে এলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে বাড়ি ঘরের চাটি বেড়া ভাংচুর করে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায় প্রতিপক্ষরা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। পরে মতিন চন্দ্র রায় বাদি হয়ে জলঢাকা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এঘটনায় প্রতিপক্ষরা নিজেরাই নিজেদের গা চিড়ে দুইজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে মামলার বাদী জানায়। প্রত্যক্ষদর্শী নুরনবী ইসলাম ও আনারুল হোসেন বলেন,বিরেন চন্দ্র ও ধিরেন চন্দ্র রায়েরা জমি বন্ধকের টাকা ফেরত না দিয়ে স্টাম্প ছিড়ে ফেলেছে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তবে অতিন চন্দ্র রায়ের লোকদের বেশি ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক দোকানদার বলেন,অতিনের লোকজন রাস্তায় বের হলেই বিরেন চন্দ্র রায়ের লোকজন মারধর করে। এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউল ইসলাম জিয়া বলেন, মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে বিরেন চন্দ্র রায়ের পক্ষরা অন্যায় করেছে। তারা তো জনপ্রতিনিধিদের মানেই না।