কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনার মদন উপজেলায় ধর্ষণ মামলার পলাতক থাকা প্রধান আসামি মো. ইমরান হোসেন ওরফে চান্দুকে (২৪) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। তিনি উপজেলার কাইকুড়িয়া (মাইজপাড়া) গ্রামের মৃত ছন্দু মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত ৯টার দিকে তাকে কিশোরগঞ্জের সদর থানাধীন বড়পুল মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
একই দিন রাত ১১টার দিকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান, কিশোরগঞ্জ র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মো. আশরাফুল কবীর।
র্যাব জানায়, গত ১৪ এপ্রিল অনুমান রাত ৯টার দিকে ভুক্তভোগী ও তার চাচাতো বোন রাতের খাবার খেয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত অনুমান ১০টার দিকে আসামি মো. ইমরান হোসেন ওরফে চান্দু ভুক্তভোগীর বাড়িতে ডাক দিয়ে দরজা খুলে দিতে বলেন। ভুক্তভোগী ঘরের দরজা কেন খুলে দিবে তার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় আসামি চান্দু জানায় জরুরী দরকার আছে।
র্যাব আরো জানায়, চাচাতো বোন ঘুমন্ত অবস্থায় ভুক্তভোগী বিদ্যুতের বাতি জ্বালিয়ে ঘরের দরজা খুলে দেন। চান্দু ঘরে ঢুকে কিছু বুঝে উঠার আগেই ভুক্তভোগীর মুখ চেপে ধরেন এবং পাজাকোলা করে ঘরের পেছনে পশ্চিম পার্শ্বের জনৈক এরশাদের বিছরা ক্ষেতে জঙ্গলে নিয়ে যান। মাটিতে শুয়াইয়া ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায় চান্দু।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে গত ১৭ এপ্রিল মদন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ে করেন। এরপর থেকে মামলার প্রধান আসামি মো. ইমরান হোসেন ওরফে চান্দু গ্রেফতার এড়াতে পলাতক থাকেন। ধৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র্যাবের ওই কর্মকর্তা।