মোঃ মহিবুল ইসলাম, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরগুনার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা উপড়ে গেছে। ফলে গত শনিবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত বরগুনা জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এ কারণে জেনারেটর ভাড়া করে মোবাইল ফোনে চার্জ দিচ্ছেন অনেকে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, শনিবার রাত থেকে শুরু হয়ে রেমালের প্রভাবে সোমবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে বরগুনায়। রাতেও বৃষ্টির বাতাসের ঝাপটা ছিলো। এতে বিভিন্নস্থানে কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। তাই শনিবার রাত থেকেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে গোটা জেলা।
পল্লী বিদ্যুৎ সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্নস্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং গাছের ডালপালা ভেঙ্গে সঞ্চালন লাইনে বিঘ্ন ঘটায় জেলা সদরের বাইরে প্রায় সবকটি উপজেলাতেই বিদ্যুতের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। শনিবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত এ অবস্থা ছিলো।
এ অবস্থায় কেরোসিন দিয়ে হারিকেন কিংবা কুপি জ্বালিয়ে অন্ধকার দূর করা গেলেও বিপাকে পড়েন মোবাইল ব্যবহারকারীরা। জরুরি যোগাযোগের প্রয়োজনে তাদের হাতের মোবাইল চালু রাখতে বিকল্প বেছে নিতে হয়েছে। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন জেনারেটর ব্যবসায়ীরা।
জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া বাজারে দেখা যায়, মহারাজের জেনারেটর ভাড়া করে কয়েক গ্রামের লোকেরা মোবাইলে চার্জ করিয়েছেন।
মহিবুল হাসান (মহারাজ) বলেন, কারেন্ট না থাকায় এই ব্যবস্থা করেছি। এতে আমার যেমন দু’পয়সা আয় হলো, মানুষেরও উপকার হলো।
কাকচিড়া গ্রামের বাসিন্দা হোমিও ডাঃ মেহেদী হাসান বলেন, গক তিনদিন ধরে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। ফলে মোবাইল বন্ধ হয়ে রয়েছে। এখন আমরা কাকচিড়া বাজারে এসে ২০ টাকা দিয়ে মোবাইলে চার্জ করিয়ে নিয়েছি। বিদ্যুৎ না আসলে আবার হয়তো রাতে অনেকেরই মোবাইলে চার্জ দিতে হবে জেনারে।
মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন, মোবাইল ছাড়াতো কোন কাজই এখন চলে না। কাজের প্রয়োজনে যেমন মোবাইলে যোগাযোগ করতে হয়, তেমন অবসর সময়ও কাটে এই মোবাইল দেখে।