চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলিটারির বিরুদ্ধে গত ২৭ মে ২০২৪ “ভয়েস প্রতিদিন” নামের একটি অনলাইন পত্রিকায় “চরফ্যাশনে নির্বাচনী প্রচারণায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাধা!” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা সম্পুর্ন মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান কাশেম মিলিটারি।
তিনি বলেন, আসন্ন চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এর চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ কিবরিয়া আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করিয়াছে। আমি এই প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, গত রবিবার বিকেল ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষতিগ্রস্ততা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষের খোঁজ-খবর নিতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ কিবরিয়া আছলামপুর ইউনিয়ন পরিষদে যান। এসময় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলা থেকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাশেম মেলেটারি মারমুখী হয়ে ফিরোজ কিবরিয়াকে বাদা প্রদান করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলিটারি বলেন, সেদিন উপজেলা প্রশাসন থেকে আশ্রয় নেয়া সাধারণ মানুষের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। আমরা লোকজন নিয়ে খাবারগুলো প্যাকেট করে সাজিয়ে রেখেছি। যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক আসলে সকলের মাঝে বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশার পূর্বে আমার ইউনিয়ন পরিষদে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ কিবরিয়া। তিনি কাউকে কিছু না বলে উক্ত শুকনো খাবারের প্যাকেট আশ্রিতদের মাঝে বিতরণ করার জন্য সাথে থাকা লোকজনসহ হাতে তুলে নেয়।
তখন আমি তাদের হাত থেকে খাবারের প্যাকেট রেখে দেই এবং বলি যে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসলে এগুলো বিতরণ করা হবে। এতে ফিরোজ কিবরিয়া রাগান্বিত হয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ, থানায় জিডি ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করেন।
প্রকৃত সত্য ঘটনাকে পাল্টিয়ে এমন মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন আছলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিলিটারি।
ইউপি সদস্য নাজিম ভুঁলাই বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ কিবরিয়া সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে উপজেলা প্রশাসনের দেয়া খাবার আশ্রিতদের মাঝে বিতরণ করতে চেয়েছিলেন।
আমাদের চেয়ারম্যান সে খাবার বিতরণ করতে না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছে। ফিরোজ কিবরিয়া নিজের টাকা দিয়ে খাবার কিনে নিয়ে গেলে আর এমন ঘটনা হতো না বলেও জানান ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাজিম ভুঁলাই।