মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচন: কে হবে সাধারণ সম্পাদক?

যা যা মিস করেছেন

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-

গত ৩১জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নির্বাচন- ২০২৪। অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদ্দাম হোসেন। কিন্তু দ্বায়িত্ব গ্রহণের আগেই তিনি গত বৃহস্পতিবার বশেমুরবিপ্রবি থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র। এমতাবস্থায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিমন্ডলে।

জানা গেছে, শিক্ষক সমিতির নিয়মানুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রথম শর্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষক হতে হবে। সেক্ষেত্রে ৩১ জানুযারি নির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার পূর্বে চাকরি থেকে অব্যহতি গ্রহণ করলে তার প্রার্থী থাকার সুযোগ নেই। আবার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর অব্যাহতি গ্রহণ করলেও রয়েছে বেশ কিছু জটিলতা।

শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের ৮(ঝ) নং ধারা অনুযায়ী, ‘নির্বাচনের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক অনানুষ্ঠানিকভাবে এবং কার্যনির্বাহী সংসদের অনুমোদনের পর আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলাফল ঘোষিত হবে।’ এছাড়াও বলা হয়েছে, ‘চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে বিদায়ী সংসদের সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক একটি সাধারণ সভা আহুত হবে যা বার্ষিক সভা নামে অভিহিত হবে। এই সভায় বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক বিগত বছরের কার্যক্রমের বিবরণী উপস্থাপন করবেন এবং কোষাধ্যক্ষ পূর্ববর্তী বছরের আয়ব্যয়ের নিরীক্ষিত হিসাব পেশ করবেন। নবনির্বাচিত সংসদ দায়িত্বভার গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত বিদায়ী সংসদ রুটিন কাজ চালিয়ে যাবেন।’

এ ধারা অনুযায়ী শিক্ষক সমিতির দায়িত্বভার গ্রহণের যে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা তা এখনও ঘটেনি এবং অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই ছাড়পত্র নিয়ে সাদ্দাম হোসেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করায় তিনি আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকই নন। ফলে এই ধারা অনুযায়ী তার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের সুযোগ নেই।

অপরদিকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, একটি কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণের পর সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেও প্রয়োজন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করা।

এমন পরিস্থিতিতে করণীয় প্রসঙ্গে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষক নেতা বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র এক নয়। তাই অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির বিষয়ে মন্তব্য করাটা কঠিন। আর এধরণের বিষয় আগে কোথাও ঘটেছে বলেও জানা নেই। তবে আমরা যদি আমাদের দেশের জাতীয় নির্বাচনের দিকে তাকাই তাহলে কোনো প্রার্থী তার বৈধতা হারালে অপর প্রার্থীদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হয় আর প্রতিপক্ষ প্রার্থী একজন হলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয়। আবার অনেকসময় ফলাফল ঘোষণার পরও বিভিন্ন অভিযোগে ফলাফল স্থগিত করা হয়, বাতিল করা হয় এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেকসময় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকেও জয়ী ঘোষণা করা হয়। এক্ষেত্রে শিক্ষক সমিতি কি করবে সেটি তাদের গঠনতন্ত্রে উল্লেখ না থাকলে আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

সাদ্দাম হোসেনের ছাড়পত্র গ্রহণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: দলিলুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামীকাল কথা হবে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে কে দায়িত্ব পালন করবেন এবিষয়ে শিক্ষক সমিতির লিখিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং রবিবারে প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. গোলাম ফেরদৌস।

তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রোববার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। এছাড়া এদিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব কে পালন করবেন এ বিষয়েও সিদ্ধান্ত হবে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security