মঙ্গলবার, জুলাই ২৩, ২০২৪

রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কান্ডারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু: উপাচার্য

যা যা মিস করেছেন

শাকিল বাবু
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, “আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বা ইজরাইল- গাজার হামাসের যুদ্ধ এক নয়। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুধুই দুটো পক্ষের সেনাবাহিনী বা অস্ত্রধারীদের মধ্যে লড়াই ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘদিনের লড়াই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিলেন।”

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার ‘ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক আয়োজিত ময়মনসিংহের ছোট বাজার মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত মহান শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারীদের, জাতীয় চার নেতা, ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযু্দ্ধে শহিদ এবং মহান বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্য আরম্ভ করেন। তিনি আরও বলেন, “বুদ্ধিজীবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হয়েছে। যিনি যে পেশায় ছিলেন যেমন চোখের ডাক্তারকে চোখ তুলে, হার্টের ডাক্তারকে হার্ট ফুটো করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মুনীর চৌধুরী কবর নাটক রচনা করেছিলেন বলে তাঁকে যেন কবর না দিতে পারে সেজন্য তাঁর লাশটাও গুম করে দেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুদ্ধিজীবীদের মুক্তচিন্তা করার জন্য সেই সময় দেশের তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে ১৯৭৩ আইনের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন দেন। বুদ্ধিজীবীদের জন্য কোন বাধা নিষেধ রাখেননি তিনি।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, “বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করেছেন। কোন দেশের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা অবশ্যই প্রয়োজন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছেন। আগামী ১00 বছরের পরিকল্পনা নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন তিনি। দেশের এই ধারাবাহিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সুন্দর ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করাই হবে আজকের বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রত্যয়।”

ময়মনসিংহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বিপিএএ (যুগ্মসচিব) এবং ঢাকা সুপ্রীম কোর্টের ডেপুটি এ্যাটর্নী জেনারেল এডভোকেট শাহ মো. আশরাফুল হক জর্জ।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security