বকশীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রাহিন হোসেন রায়হান
জায়গা জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে নাজেহাল বকশীগঞ্জের মোঃ কালা মিয়া(৪৫) ঘটনাটির কোন সুষ্ঠু সমাধান না পেয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মৌখিকভাবে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, জামালপুরের বকশীগঞ্জে মালিরচর জিগাতলা গ্রামে। জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার ১১ই ডিসেম্বর বেলা ১১টায় মালিরচর জিগাতলা গ্রামে ভুক্তভোগীদের বসতভিটায় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে নিজেদের নিরাপত্তাহীনতা, মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও জোরপূর্বক জমি দখল ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে মৌখিক বক্তব্য রাখেন মোঃ কালামিয়া(৪৫)। তিনি বলেন এই জমি আমি এবং আজাদ হোসেন মিলে চেয়ারম্যান আলমাস ও তার ভাইদের নিকট থেকে ক্রয় করি কিন্তু চেয়ারম্যান আলমাস আমাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয় না পরবর্তীতে আজাদ মিয়া সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক থাকায় তার নামে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হয় কিন্তু বিধিবাম আজাদ মিয়া আর আমাকে জমিটি রেজিস্ট্রি করে দেয় না। দীর্ঘ ২০ বছর আমি এই জমিতে বসবাস করি। এই জমিকে কেন্দ্র করে আমার উপর বিভিন্ন প্রকার মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির সহায়তায় বিচার সালিশের মাধ্যমে আমাকে চার লক্ষ বিশ হাজার টাকা দেয় এবং জায়গা থেকে বেদখল করে, আমার থাকবার জায়গা নাই সেটা দেখে আমার চাচা রাস্তার পাশে কিছু জমি দেয় সেই জমিতে আমি ঘর তোলার চেষ্টা করি কিন্তু আসাদুল(৩২), শিলা পারভিন(৩৮), মিনাল(৪৮), মুকুল(৪৫), মামুন(১৮)সহ চেয়ারম্যান আলমাছের সহায়তায় আমাকে এলাকা ছাড়া করার পাঁয়তারা করতে থাকে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে। আমার বসতবাড়িতে রাতের আধারে হামলা চালিয়ে সবাইকে মারধর করে নগদ ৩লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাটির ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তাই ভুক্তভোগী মোঃ কালা মিয়া(৪৫) নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে ওই এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।