নওগাঁয় ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামী পক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগে বাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জেলার ধামইরহাট উপজেলার লক্ষনপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা (২০) একই উপজেলার শংকরপুর চকনোয়াই গ্রামের মৃত কফিল উদ্দীনের ছেলে মতিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১১ জুলাই মতিবুল ইসলামের বাড়ির শয়ন ঘরে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিতভাবে প্রমানিত হয় যে, মতিবুল ইসলাম ফাতেমার গর্ভজাত
নবজাতক পত্রু সন্তানের জৈবিক পিতা নয়। ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমানিত হয় যে, শাহিনুর আলম ফাতেমার গর্ভজাত
নবজাতক পত্রু সন্তানের জৈবিক পিতা। পুলিশ কর্তৃক তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় মতিবুল ইসলাম ও শাহিনুর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনালে সাত জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে চলতি বছরের ২৭ আগস্ট আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় সকল আসামীকে খালাস প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, শাহিনুর আলম মামলা চলাকালিন ফাতেমাকে বিয়ে করে খালাস প্রাপ্ত হন। শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছে দাবী করে আজ ধর্ষণের দাবী করা নারী ফাতেমার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১৭ ধারায় অভিযোগ আনয়ন করেন ভুক্তভোগী জেলার ধামইরহাট উপজেলার শংকরপুর চকনোয়াই গ্রামের মৃত কফিল উদ্দীনের ছেলে মতিবুল ইসলাম (৫০)। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার অভিযোগটি আমলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা উক্ত নারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। আগামী ২৯ জানুয়ারী আসামীর গেফ্র তার পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।