বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রনি মৃধার বিরুদ্ধে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দায়িত্বপালনে বাঁধা, একাধিকবার অসহ্য অপমান ও হুমকি প্রদানের অভিযোগ এনে প্রতিকার ও নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করছেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: শফিকুল ইসলাম।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগপত্র প্রেরণ করেন।
অভিযোগপত্রে মো: শফিকুল ইসলাম বলেন ‘ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী রনি মৃধা ( ৪র্থ বর্ষ, সেশনঃ২০১৮-১৯) কে গত সেমিস্টার তত্বীয় পরীক্ষায় অন্যের দেখে লিখতে নিষেধ করায় আমাকে উদ্ধতভাবে চোখ রাঙ্গায় এবং খাতা- কলম আঁচড়িয়ে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে Pharmaceutical Technology ll Lab (৩য় বর্ষ, ২য় সেমিস্টার) ট্রায়ালে দেরিতে উপস্থিতি বিষয়ে বললে সব শিক্ষার্থীর সামনেই আমার সাথে অত্যন্ত অশোভন আচরণ করে। উক্ত বিষয় দুটিই আমি বিভাগের সভাপতি ও সহকর্মীদের যথাসময়ে অবগত করলেও বিভাগ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি।
আরও উল্লেখ করেন ‘গত ২৯ আগস্ট বিভাগের ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টার পরীক্ষা পরিদর্শনকালে রনি মৃধা পাশের শিক্ষার্থীর খাতা দেখে লিখতে থাকলে একাধিক বার নিষেধ করি। কিন্তু সে অমান্য করলে পাশের শিক্ষার্থীকে অন্যত্র সরিয়ে দিলে অন্য পরিদর্শক সামিয়া জামান ম্যাডামের উপস্থিতিতেই আবারও অত্যন্ত উদ্ধত আচরণ করে এবং পাশের শিক্ষার্থীকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে অত্যন্ত উদ্ধত ভাষায় আচরণ করে ও নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে বেরিয়ে যায়।পরিক্ষার কক্ষের বাইরেও অনেক বাজে গালিগালাজ করে।
আমি পরের দিন ৩০ আগস্ট উল্লিখিত অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে সভাপতি বরাবর আবেদন করি। কিন্তু বিভাগ থেকে কোন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ অদ্যাবধি নেওয়া হয়েছে বলে আমি অবগত নয়। সবশেষ গত ৮ নভেম্বর দুপুর আনুমানিক ২:৩০টায় সভাপতির কক্ষে মডারেশন সভা চলার সময় বিভাগের শিক্ষকগণের উপস্হিতিতেই রনি মৃধা সভাপতির কক্ষের দরজার সামনে দাড়িয়ে আমার নাম ধরে চিল্লাচিল্লি করতে থাকে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে আজও আমি সভাপতির পদক্ষেপে জানতে চাইলে তিনি আশাব্যঞ্জক কিছুই বলতে পারেনি। এমনকি অদ্যাবধি সে বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি এবং চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন,’ আমরা অভিযোগ পত্র পেয়েছি এবং সেটা ভিসি স্যারকে অবগত করেছি। তিনি এখনো কোন সিদ্ধান্ত দেন নি।’
প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর রনি মৃধার বিরুদ্ধে ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে হলে গিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করার অভিযোগের তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে।