সাংবাদিক গোলজারের মায়ের ইন্তেকাল, দাফন সম্পন্ন,আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক আলোকিত সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক গোলজার আহমদ হেলালের গর্বিত মাতা জৈন্তাপুর উপজেলার দিগারাইল নিবাসী মাহমুদা খাতুন ইন্তেকাল করেছেন।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।গত মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।জানা যায়, মাহমুদা খাতুন বেশ কয়েকদিন থেকে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতায় ভুগছিলেন।শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।তিনি(মাহমুদা খাতুন) এলাকার এক অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান।এতদঞ্চলের বিশিষ্ট ও গুণধর ব্যক্তিত্ব মরহুম হাজী আস্রব আলীর একমাত্র কন্যা ও বিশিষ্ট মুরুব্বী মরহুম মুহিবুর রহমানের সহধর্মিণী ছিলেন।মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে আসেন সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুহিত চৌধুরী,পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক মবরুর আহমদ সাজু, কার্যকরী কমিটির সদস্য মাহমুদ হোসেন খান,ক্লাব সদস্য জসীম উদ্দিন,দৈনিক আলোকিত সিলেটের স্টাফ রিপোর্টার আমির উদ্দিন,এনটিভি ইউরোপের রিপোর্টার কাওসার আহমদ রাহাত,বিজনেস বাংলাদেশের সিলেট জেলা প্রতিনিধি রেজাউল করিম চৌধুরী সোহেল প্রমুখ।
মরহুমার জানাজার নামাজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় দিগারাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।পরে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।জানাজা ও দাফন কার্যে উপস্থিত ছিলেন,জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মো. জয়নাল আবেদীন, সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সদস্য এডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম,গোলাপগঞ্জ বাদেপাশা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন রায়হান,সিলেট জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি নাজমুল হাসান শিকদার,জৈন্তাপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর নাজমুল ইসলাম,অবসরপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আলহাজ্জ্ব ডা. ওলিউর রহমান, প্রবীণ মুরুব্বী আলহাজ্জ্ব নুর উদ্দিন,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহমুদুর রহমান, আব্দুল লতিফ, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রহমান,বিএনপি নেতা তালেবর মিয়া, চারিকাটা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মামুনুর রশিদ,আজকের সিলেট এর প্রধান সম্পাদক সাংবাদিক এম সাইফুর রহমান তালুকদার,জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি ছরওয়ার হোসেন,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাফিজ মাওলানা মাসুম আহমেদ,সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম,ক্লাব সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক আফরোজ খান,সাংবাদিক মো. আলমগীর আলম, সাংবাদিক আমির উদ্দিন, সাংবাদিক ডি এইচ মান্না,সাংবাদিক নুরুল আলম আলমাস,সাংবাদিক রেজাউল ইসলাম, ১নং নিজপাট ইউনিয়ন এর ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মাহমুদ আলী,সাবেক মেম্বার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালিক,মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান,প্রবীণ মুরুব্বী আজিজুর রহমান,প্রবীণ শিক্ষক মাস্টার মোহাম্মদ আলী, এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বী মুসা মিয়া,জেলা ছাত্রশিবির নেতা মহসিন আলমাস,ছাত্রশিবিরের জৈন্তাপুর উপজেলা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার সভাপতি যথাক্রমে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও মহসিনুল আলম,উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এনামুল হক,নুরুল ইসলাম,আব্দুল খালিক,নিজপাট ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি নাজিম উদ্দিন,দরবস্ত ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর হাবিবুর রহমান,চারিকাটা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন,ইউ,পি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবিদুর রহমান,ব্যবসায়ী আফাজুর রহমান,মাহবুবুর রহমান,সাংবাদিক হোসেন মিয়া,সাংবাদিক বিলালুর রহমান,প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আব্দুল বাছিত,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম নেতা মাওলানা জামিল বিন মোজাফফর,সজল আহমদ,মরহুমার পুত্র গোলজার আহমদ হেলাল সহ এলাকার মুরুব্বী,ছাত্র,যুবক, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা পূর্ব সমাবেশে সাবেক ইউ, পি মেম্বার ও পরগণার বিশিষ্ট মুরুব্বী মাহমুদ আলী বলেন,মরহুম মাহমুদা খাতুন অত্যন্ত ভালো মানুষ,সমাজসেবক ও পরোপকারী এক নারী ছিলেন। আমরা তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতাম। আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।তিনি বলেন,শুধু দিগারাইল গ্রাম নয় এ অঞ্চলের (১০/১২ মৌজা) একজন গুণী,প্রভাবশালী,ধনাঢ্য,ধার্মিক ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন মরহুম হাজী আস্রব আলী।তাঁর একমাত্র সন্তান মরহুমা মাহমুদা খাতুন।তিনি বলেন,এ পরিবার এ জনপদে আলো ছড়িয়েছে।তাদের সুনাম ও সুখ্যাতি সর্বজনবিদিত।তিনি মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
এদিকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বাদ জুম্মা মরহুম মাহমুদা খাতুনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।দিগারাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব জয়নাল আবেদীন ও মরহুমার একমাত্র পুত্র গোলজার আহমদ হেলাল সহ মুসল্লীগণ উপস্থিত ছিলেন।